‘আর কারো ভরসা করতে হবে না, নিজেই স্কুলে যেতে পারবো’

জন্মের পর থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী নাহিদ। বর্তমানে তিনি অষ্টম শ্রেণিতে পড়েন। সামর্থ না থাকায় দিনমজুর বাবা নূর জামাল হোসেন তাকে একটি হুইল চেয়ার কিনে দিতে পারেননি। সমাজের বিত্তশালীরাও তার পাশে দাঁড়ায়নি। তাই পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় তার স্কুলে যেতে হতো।

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ৩০তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে স্কুল ফ্রেন্ডস নেটওয়ার্কের উদ্যোগে হুইল চেয়ার দিয়ে নাহিদকে সহযোগিতা করা হয়। হুইল চেয়ার পেয়ে নাহিদ খুবই খুশি।

নাহিদ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পাথরাইল গ্রামের দরিদ্র নূর জামালের ছেলে ও চারান উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

নাহিদ বলেন, ‘এখন আর অন্য কারো বোঝা হয়ে থাকবো না। এখন নিজেই স্কুলে যেতে পারবো। প্রতিবন্ধী হওয়ায় স্কুলে যাওয়ার সময় বাড়ির কেউ না কেউ নিয়ে যেতো স্কুলে আর সবাই বিরক্ত বোধ করতো আমাকে নিয়ে। আমাকে সবাই বোঝা মনে করতো।  এখন আর কারোরই আমাকে বোঝা মনে হবে না একাই স্কুলে যেতে পারবো।’

নাহিদ আরও বলেন, ‘স্কুলে যখন যাই তখন অনেক বন্ধুদের সঙ্গে বাহিরে বের হতে পারি না। কেউ আমাকে বাহিরে নিয়ে যেতোও না। কিন্তু এখন এই হুইল চেয়ার পেয়ে অনেক সুবিধা হলো এখন নিজেই চলতে ফিরতে পারবো।’

স্কুল ফ্রেন্ডস নেটওয়ার্ক-০২ এর সহ-সভাপতি খন্দকার শাহাবুদ্দিন হিরোক জানান, নাহিদের মতো একজন অসহায় মানুষকে একটি হুইল চেয়ার দিয়ে সহযোগিতা করায় অনেক ভালো লাগছে। নাহিদের মুখের হাসিটা দেখেই মনটা জুড়িয়ে যাচ্ছে।

এ সময় স্কুল ফ্রেন্ডস নেটওয়ার্ক এর সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন জানান, সাধারণ মানুষের পাশে সব সময় স্কুল ফ্রেন্ডস নেটওয়ার্ক থাকে, আগামী দিনেও থাকবে। প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আজ নাহিদকে তার স্কুলে ও চলাচলের জন্য একটি হুইল চেয়ার দিয়ে পাশে থাকতে পেরে আমরা নিজেদেরকে ধন্য মনে করছি। এরকম সামাজিক কার্যক্রম আমাদের সবসময়ই চলমান থাকবে।