ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

স্বীকৃতি ছাড়াই চলে গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লোবান

আরিফুল ইসলাম সাব্বির, সাভার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৮, ৪ ডিসেম্বর ২০২১  
স্বীকৃতি ছাড়াই চলে গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লোবান

রাজনীতির উত্তাল সময় ১৯৬৯-৭১ সালে ছাত্র ইউনিয়নের প্যানেল থেকে বিপুল ভোটে মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। 

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সংগঠক হিসেবে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া এলাকায় ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। অংশ নেন সম্মুখ সমরে। নেতৃত্ব দেন থানা থেকে অস্ত্র লুটে। তবে বিজয়ের ৫০ বছরেও গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মেলেনি তার। অবশেষে বিজয়ের মাসেই চলে গেছেন ঢাকার ধামরাইয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান খান লোবান।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার ধামরাই উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের পারাগ্রাম গ্রামে তাকে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান খান লোবান দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিলো ৭৪ বছর। মৃত্যুকালে এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীকে রেখে গেছেন। তিনি ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়ন, পরে ন্যাপ ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

স্বীকৃতি না পাওয়া এই মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধকালীন সময়ের কথা জানতে গত অক্টোবর মাসে তাকে যখন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড উপজেলা পরিষদে ডেকেছিল। ততদিনে নিজের পায়ে চলার মতো সামর্থ হারিয়েছিলেন তিনি। 

জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান খান লোবানের ছেলে আশিকুর রহমান খান বলেন, ‘বাবা বেঁচে থাকতে কয়েকবার চেষ্টা করেছিলেন। তবে গেজেটে নাম আসেনি। অবশেষে গত অক্টোবরে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান ধামরাইয়ে আসলে সেখানে আমরাও যাই। বাবার সহযোদ্ধারাও ছিলেন সেখানে। তারা বাবার বিষয়ে বিস্তারিত বলেন।’ 

আশিকুর রহমান খান আরও বলেন, ‘বাবা গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি। কাল যখন তিনি মারা যান, আমরা ধামরাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে ফোন করি। উনি আমাকে জানান বাবাকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হবে। পরে আজ গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এতে কিছুটা হলেও আমরা প্রশান্তি পেয়েছি। আশা করছি তিনি স্বীকৃতিও পাবেন।’ 

জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ফারুক বলেন, ‘যুদ্ধে লোবান ভাই কোয়ার্টার মাস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিঙ্গাইর, মানিকগঞ্জ, সাটুরিয়া, হরিরামপুরে দায়িত্ব পালন করেন। মানিকগঞ্জে থাকলে হয়ত তিনি আরও অনেক আগেই স্বীকৃতি পেতেন।’
 

সাব্বির/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়