ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জে বিজয় নিশান উড়েছিলো ১৭ ডিসেম্বর

রুমন চক্রবর্তী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৯, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১   আপডেট: ১০:২১, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১
কিশোরগঞ্জে বিজয় নিশান উড়েছিলো ১৭ ডিসেম্বর

১৭ ডিসেম্বর। কিশোরগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস আজ। যেখানে ১৬ ডিসেম্বরের মাঝেই দেশের বেশির ভাগ জায়গা হয়েছিলো পাকশত্রু মুক্ত। সারাদেশে যখন চলছিল বিজয়ের আনন্দ মিছিল। তখনও সেই বিজয়ের স্বাদ নিতে পারেনি কিশোরগঞ্জবাসী। 

সেদিনও কিশোরগঞ্জ শহর ছিল স্থানীয় দোসরদের শক্ত ঘাঁটি। কিশোরগঞ্জবাসী বিজয় নিশান উড়েছিলো ১৭ ডিসেম্বর। 

মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র প্রতিরোধে ১৯৭১ সালের এই দিনে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় স্থানীয় আলবদর-রাজাকারের দল। হানাদার মুক্ত হয়েছিল কিশোরগঞ্জ। 

১৬ ডিসেম্বর সারারাত মুক্তিযোদ্ধাদের সাঁড়াশি আক্রমণ ও গোলাগুলিতে বিনিদ্র রাত কাটায় শহর ও শহরতলীর লোকজন। পরদিন সকালে সে কাঙ্খিত মুহূর্তটি ঘনিয়ে আসে। অবশেষে শহরের চারদিক থেকে চতুর্মুখী আক্রমণ করে ১৭ ডিসেম্বর সকাল ৮টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনী হানাদারদের হটিয়ে মুক্ত করে কিশোরগঞ্জকে। উত্তোলন করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। বিজয়ের স্বাদ পেয়ে মুক্তিসেনাদের মুখে জয় বাংলা স্লোগান স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে চারপাশ। পাকশত্রু মুক্তির সেই আনন্দে শামিল হয় শান্তিপ্রিয় জনতা। স্বজন হারানোর ব্যথা ভুলে হাজার হাজার উৎফুল্ল জনতা নেমে আসে রাস্তায় ।

বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের জন্মভূমি এই কিশোরগঞ্জ। বীর প্রতীক সেতারা বেগম, বীর প্রতীক কর্ণেল হায়দার এবং বীর প্রতীক নূরুল ইসলাম খান পাঠানের বাড়ী এই কিশোরগঞ্জে। তাই কিশোরগঞ্জবাসী গর্বিত। এ অঞ্চলের মানুষ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গর্ব করে। 

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কমান্ডার ভূপাল নন্দী জানান, ১৭ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায় কমান্ডার কবীর উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল শহরের পূর্ব দিক দিয়ে বিজয় ধ্বনিতে কিশোরগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে। তারপর শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথ দিয়েও মুক্তিযোদ্ধারা দলে দলে শহরে আসতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযানের খবরে মুক্তিকামী জনতাও উল্লাস করে স্বাধীনতার শ্লোগান দিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। শহরের শহীদী মসজিদ প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র সমর্পণ করে পাকবাহিনীর দোসররা। 

কিশোরগঞ্জ/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়