ঢাবি ছাত্রী হত্যার বিচার চাইলো এলাকাবাসী

শ্বশুরবাড়িতে ‘নির্যাতনের কারণেই’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের ছাত্রী এলমা চৌধুরী মেঘলার মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে তার পরিবার ও এলাকাবাসী। 

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার ধামরাইয়ের থানা রোড এলাকায় উপজেলার বিভিন্ন সংগঠন আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। এতে ধামরাইয়ের বিভিন্ন সংগঠন ও এলমার বাবাসহ আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

এলমার বাবার বাড়ি ধামরাই পৌরসভা এলাকায়। এলমা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। কয়েকদিন আগে কানাডাপ্রবাসী স্বামী ইফতেখার আবেদীন দেশে ফেরেন। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার বনানীতে স্বামীর বাসায় তার মৃত্যু হয়। এলমার শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন দেখা গেছে বলে বাবা জানান। তবে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

মানববন্ধনে এলমার ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর কথা তুলে ধরে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। মেয়ের শোকে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার পড়াশোনায় বাধা দিচ্ছিলেন। এটা না মানতেই এলমার ওপর নির্যাতন নেমে আসে। আমরা ডিভোর্সের কথাও বলেছিলাম। কিন্তু এলমা নির্যাতন সহ্য করতে করতে জীবনটাই দিতে হলো।’ 

ধামরাইয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নডানা পরিবারের সভাপতি ও নিহত এলমার ফুপাতো ভাই শাহরিয়ার ফেরদৌস রানা বলেন, ‘আমার বোনের শরীরের জখম দেখে চমকে গেছি। সারা শরীরে দাগ আর দাগ৷ এমন নৃশংস হত্যার বিচার চাই।’ 

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অংকুরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মঞ্জুরুল হক রনি বলেন, ‘এ জঘন্য ঘটনার বর্ণনা শুনে আমি বাকরুদ্ধ৷ আমি শুনেছি, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্রে তাদের বিয়ে হয়েছে৷ ফেসবুক ব্যবহারে আরও সচেতন হতে হবে। এলমা হত্যার বিচার চাই।’  

মানববন্ধনে ধামরাইয়ের সামাজিক সংগঠন অংকুর, রক্ত সৈনিক, নিরাপদ সড়ক চাই, স্বপ্নডানা, সচেতন নাগরিক সমাজ, ইচ্ছে আলো, দৈনিক কালেরকণ্ঠের শুভ সংঘসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেয়।