লঞ্চে আগুন: দগ্ধরা শঙ্কামুক্ত
নিজস্ব প্রতিবেক, বরিশাল || রাইজিংবিডি.কম
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জরি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. নুরুল আলম বলেছেন ‘অভিযান-১০ লঞ্চে দগ্ধ হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সব রোগীরাই এখন শঙ্কামুক্ত। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই তারা সুস্থ্ হয়ে বাড়িতে ফিরতে পারবেন।’
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্মান্তিক ওই ঘটনায় দগ্ধ রোগীদের পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. নুরুল আলম ঢাকা থেকে বরিশালে যাওয়া ৭ সদস্যের মেডিক্যাল টিমের প্রধান।
আরো পড়ুন: লঞ্চে আগুন: ঢাকার চিকিৎসক দল বরিশালে
ডা. নুরুল আলম বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে এখানে চিকিৎসাধীন আছেন ৩৫ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে চিকিৎসারত ৩ জনকে আজ সাধারণ বিছানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে ১৭ জন সুস্থ্য হয়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরে যাবেন। তবে বাকি ১৮ জনের সুস্থ্ হতে দুই সপ্তহ লাগতে পারে।’
এর আগে ওই মেডিক্যাল টিমের ৭ সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেন শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. মাসরুর উর রহমান বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়ে যাওয়া ৩৩ জন রোগী বর্তমানে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া অর্থপেডিক্স বিভাগে ভর্তি আছেন আরো দুইজন। তারা সবাই বর্তমানে আশঙ্কা মুক্ত। যারা ভর্তি আছেন তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ বার্ন রয়েছে ১২ ভাগ।’
তিনি আরো বলেল, ‘এ হাসপাতালে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের কোনো চিকিৎসক নেই। তবে আছেন দক্ষ একাধিক নার্স। অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনার পর তারা দগ্ধ রোগীদের যে চিকিৎসা দিয়েছেন তা অত্যান্ত কার্যকরি। এ কারণেই রোগীরা সুস্থ হচ্ছেন। এখানকার সার্জারি বিশেষজ্ঞদের কাছে বাকি চিকিৎসা কার্যক্রম বুঝিয়ে দিয়ে মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা সোমবারই ঢাকায় ফিরে যাবেন এবং নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দেবেন।’
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসা দিতে বরিশালে যান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই তারা হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে পাঁচ জন ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে দুইজন চিকিৎসক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান বলে জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী ‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে আগুন লাগে। ওই ঘটনায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন ৮১ জন রোগী। এর মধ্যে ১৯ জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
স্বপন/ মাসুদ
আরো পড়ুন