ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

লঞ্চে আগুন: এক লাশের দাবিদার দুই পরিবার

ঝালকাঠি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪০, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১   আপডেট: ২২:৫১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
লঞ্চে আগুন: এক লাশের দাবিদার দুই পরিবার

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের তিন দিন পর সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে একই জেলার বিষখালী নদী থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ লাশের দাবিদার দুটি ভিন্ন পরিবার। তাই, লাশ হস্তান্তর নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

এক পক্ষের দাবি, উদ্ধার করা মৃত যুবকের নাম মো. শাকিল মোল্লা। তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইসদাইর গ্রামের মৃত শফি উদ্দিন মোল্লার ছেলে। আগুনে পুড়ে যাওয়া এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে সহকারী বাবুর্চি ছিলেন তিনি। ফেসবুকে ছবি দেখে তার বোন সাহিদা আক্তার নিশা ভাইয়ের মৃতদেহ শনাক্ত করেছেন।

আরেক পক্ষের দাবি, ওই ‍মৃত যুবক বরগুনা সদরের বুড়ির চর ইউনিয়নের বড় লবনগোলা গ্রামের হাকিম শরীফ। তিনি ঢাকার এসএমডি কোম্পানির নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন। হাতের আংটি ও পোশাক দেখে হাকিম শরীফ হিসেবে তাকে শনাক্ত করেছেন বড় ভাই আবদুল মোতালেব শরীফ।

গত ২৪ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৩টায় ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমডি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। এতে অন্তত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ও নিখোঁজ হয়েছেন শতাধিক মানুষ। অগ্নিকাণ্ডের তিন দিন পর সোমবার সকালে বিষখালী নদীর কিস্তাকাঠি এলাকা থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

বরগুনার বড় লবনগোলা গ্রামের আবদুল মোতালেব শরীফ বলেছেন, ‘আমার ভাই ঢাকায় চাকরি করত। সম্প্রতি ভাইয়ের স্ত্রী পাখি বেগম ও তার আড়াই বছর বয়সী ছেলে নাসিরুল্লাহ ঢাকায় যায়। মেয়ে হাফছার বিয়ের জন্য পোশাক কিনে তিনজনই বৃস্পতিবার বরগুনায় আসার জন্য এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ওঠে। রাতে লঞ্চে আগুন লাগার পর থেকে তারা তিনজনই নিখোঁজ। ফেসবুকে ছবি দেখে বুঝতে পেরেছি, এটা আমার ছোট ভাইয়ের লাশ।’

অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে নিখোঁজ লঞ্চের সহকারী বাবুর্চি শাকিলের বোন সাহিদা আক্তার নিশা বলেন, ‘আমার ভাই এক মাস আগে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে কাজে যোগ দিয়েছিল। ফেসবুকে ছবি দেখে নিশ্চিত হই, এটা আমার ভাইয়ের লাশ।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুই পক্ষই উদ্ধার করা মৃত যুবকের পরিবারের সদস্য বলে দাবি করছে। উপযুক্ত প্রমাণ বা ডিএনএ টেস্টের পর প্রশাসনের মাধ্যমে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’

অলোক/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়