ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

কাঁঠালিয়ায় অপারেশনের সময় জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৮, ৫ জানুয়ারি ২০২২  
কাঁঠালিয়ায় অপারেশনের সময় জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার তালুকদারের বিরুদ্ধে সিজারিয়ান অপারেশন করার সময় এক রোগীর জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ উঠছে। বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় ওই নারী ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মাহিনুর (২৩) নামের ওই নারী বেতাগী উপজেলার নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি কাঁঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামের মৃত শাহজাহানের মেয়ে।

মাহিনুরের স্বামী নিজাম উদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে ভুল চিকিৎসার বর্ণনা দেন এবং ডা. তাপস কুমার তালুকদারের শাস্তি দাবি করেন।

নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘আমার স্ত্রী মাহিনুরের প্রসবজনিত ব্যথা দেখা দিলে গত ৯ ডিসেম্বর কাঁঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (আমুয়া) নেয়া হলে সেখানকার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার তালুকদার রোগীকে হাসপাতাল সংলগ্ন আমুয়া অ্যাপোলো ডায়াগনেস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার পরামার্শ দেন।’

স্বামী নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘ক্লিনিকে ডাক্তার সাহেব নিজে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সিজারিয়ান অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। অপারেশন করতে গিয়ে ভুলবশত মাহিনুরের জরায়ু কেটে ফেলেন। রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখা দিলে গত ১৫ ডিসেম্বর ডা. তাপস ক্লিনিক থেকে মাহিনুরের নাম কেটে দিয়ে অন্যত্র চিকিৎসা নেয়ার পরামার্শ দেন। কিন্তু ছাড়পত্র দেয়া হয়নি।’

নিজাম উদ্দিন অভিযোগ করেন, ‘রোববার (২ জানুয়ারি) মাহিনুরকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানকার চিকিৎসক জানিয়েছেন রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন। মাহিনুরের সিজারিয়ান ও কেটে ফেলা জরায়ুর স্থানে পচন ধরেছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার তালুকদার বলেন, ‘ওই রোগীর পূর্বে সিজারিয়ান অপারেশন করা থাকায় ফুলটা পজিশনে ছিলো না এবং জরায়ুর মধ্যে একটা টিউমার ছিল। এটা অপারেশন করতে গেলে খুব ব্লিডিং হয়। এটা আগে আলট্রাসনোগ্রাফিতে ধরা পড়েনি। অপারেশন করে বাচ্চা বের করার পরে যখন ফুলটা জরায়ু থেকে আলাদা করতে হয়, তখন ফুলটা জরায়ুর মধ্যে ঢুকে ঢুকে থাকে। ওটা ছাড়ালেও ব্লিডিং হয় এবং না ছাড়ালেও ব্লিডিং হয়। সেই মুহূর্তে জরায়ুর পার্সিয়ালি কিছু অংশ কেটে ফেলে ছাড়া উপায় থাকে না। সেটা তখন করতে হয়েছে। আর ওটা করতে গিয়ে যেহেতু প্রচুর ব্লিডিং হয়, তখন জরুরিভিত্তিতে অনেক ব্যাগ ব্লাড দেয়া হয়েছে।’

ডা. তাপস কুমার তালুকদার বলেন, ‘পরে নাকি তার ইনফেকশন হয়েছে, আমি দেখিনি। আমাকে ফোন দিয়েছিল, আমি বলেছি ক্লিনিকে আসেন, কয়েকদিন ড্রেসিং করলে ওটা ঠিক হয়ে যাবে। যেহেতু বড় ধরনের একটা ধকল গেছে, সেহেতু ইনফেকশন হতে পারে।’

অলোক/বকুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়