নবম মৃত্যুবার্ষিকীতে নির্মল সেনকে স্মরণ 

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল সেনের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি তিনি রাজধানী ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। 

এ উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে নির্মল সেনের জন্মস্থান কোটালীপাড়ায় মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। আজ ভোরে নির্মল সেন স্কুল অ্যান্ড মহিলা কলেজে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে কলেজ প্রাঙ্গণে নির্মল সেন স্মৃতি সংসদ স্মরণ সভার আয়োজন করে। স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ। নির্মল সেনের ভাতিজা ও সাংবাদিক রতন সেন কংকনের সভাপতিত্বে এই স্মরণ সভায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদারসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

নির্মল সেন ১৯৩০ সালের ৩ আগস্ট কোটালীপাড়ার দিঘীরপাড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সুরেন্দ্রনাথ সেন গুপ্ত, মা লাবন্য প্রভা সেন গুপ্ত। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে নির্মল সেন পঞ্চম। বাবা সুরেন্দ্র নাথ কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনের গণিত শিক্ষক ছিলেন। এর আগে সুরেন্দ্র নাথ ঢাকার ইস্টবেঙ্গল ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা করতেন।

দেশ বিভক্তির পর নির্মল সেনের পরিবার কলকাতা চলে গেলেও জন্মভূমির প্রতি অকুন্ঠ ভালবাসার কারণে তিনি এদেশে থেকে যান। নির্মল সেন বড় হযেছেন ঝালকাঠি জেলায় তার পিসির বাড়িতে। এখান থেকেই ম্যাট্রিক পাস করেন। বরিশাল বিএম কলেজ থেকে আইএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ও মাস্টার্স শেষ করেন।

স্কুলজীবন থেকেই নির্মল সেনের রাজনৈতিক জীবন শুরু।  রাজনীতি করতে গিয়ে নির্মল সেনকে জীবনের অনেকটা সময় জেলে কাটাতে হয়েছে। ১৯৫৯ সালে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার মধ্যে দিয়ে নির্মল সেন তার সাংবাদিক জীবন শুরু করেন। তারপর দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক বাংলা পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। 

তিনি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিষয়ে অতিথি শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন। তার লেখা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ “পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ”, “মানুষ সমাজ রাস্ট্র”, “বার্লিন থেকে মস্কো”, “মা জন্মভূমি”, “স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই”, “আমার জীবনে ৭১ এর যুদ্ধ” ও “আমার জবানবন্দি”।