ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ফরিদপুরে নদীগর্ভে ১০ বসতঘর, ঝুঁকিতে একাধিক প্রতিষ্ঠান

ফরিদপুর সংবাদদাতা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৯, ১৯ জানুয়ারি ২০২২  
ফরিদপুরে নদীগর্ভে ১০ বসতঘর, ঝুঁকিতে একাধিক প্রতিষ্ঠান

কুমার নদ খননের পর নদের পাড় ভাঙতে শুরু করেছে। ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় অন্তত ১০টি বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও নগরকান্দা সরকারি এম এন একাডেমীর ভবন, থানা ভবন ও বাজারের কেন্দ্রীয় কালি মন্দির ভবনসহ পৌর বাজার এখন ঝুঁকিতে রয়েছে।  

ফরিদপুর থেকে ভাঙা পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটার কুমার নদের পুনঃখননের কাজ চলছে। কাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বেঙ্গল গ্রুপ বাস্তবায়ন করছে। এই নদী পুনঃখননের ফলে নদীর পাড়ের কিছু এলাকায় ধস এবং ফাটল দেখা দিয়েছে।  

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে হঠাৎ পৌর এলাকার গাংজগদিয়া গ্রামের নদের পাড়ের গঙ্গামন্দিরসহ ৮/১০ বসতঘর ধসে পড়ে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নদের পাড়ের বাসিন্দারা। 

কয়েকদিন আগে একইভাবে উপজেলার পাঁচকাইচাইল এলাকায় নদীর পাড়ে বসবাসরত আশরাফ মাতুব্বর ও সেলিম ব্যাপারীর বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।  

ক্ষতিগ্রস্ত উজ্জল মালো বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে ফাটল দেখা গিয়েছিল। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে হুড়মুড় শব্দে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি— আমার পাশের ঘর ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে। পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘরের বাইরে আসি। এমন সময় আমার একতলা ভবনটিও চোখের সামনে ভেঙে নদীতে পড়ে।’  

ঘটনার সংবাদ পেয়ে রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, গভীর করে নদী খনন করে যেভাবে বালু তুলে নিচ্ছে, এ কারণে নদীর পাড় ভেঙে পড়ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু বলেন, ‘নদের পাড়ে ফাটল হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি। জেলা সমন্বয় সভায় এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। নদীর পাড় রক্ষার্থে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’ 

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, সরেজমিনে লোক পাঠানো হয়েছে। এটা সমাধানের চেষ্টা চলছে। 
 

উজ্জ্বল/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়