ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শাবিতে তীব্র শীতে অনশনকারীদের রাতযাপন

সিলেট সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৫, ২০ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১১:৩৯, ২০ জানুয়ারি ২০২২
শাবিতে তীব্র শীতে অনশনকারীদের রাতযাপন

রাতে তীব্র শীতের মধ্যে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ ঘুমিয়ে পড়েন

হাড় কাপাঁনো শীতে কাঁথা গায়ে জড়িয়ে অনশনের প্রথম রাতযাপন করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) আন্দোলনত শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) অষ্টম দিনের মতো আন্দোলন চলছে। তবে ২৪ শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করে বুধবার আড়াইটা থেকে।

বুধবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ২৪জন শিক্ষার্থী স্বেচ্ছায় আমরণ অনশনে বসেন। অন্যদিকে দুপুরে শিক্ষার্থীদের ‘কটূক্তিমূলক ও কুরুচিপূর্ণ’ শ্লোগানের প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা মানববন্ধন করলেও বুধবার রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন শিক্ষক নেতারা। তারা শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরার আকুতি জানিয়েছিলেন। তবে শিক্ষার্থীরা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।

এর আগে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. লায়লা আশরাফুন ‘আমরা চাষাভুষা নই যে, যা খুশি তাই বলবে’ মন্তব্য করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছেন এই শিক্ষক।

অধ্যাপক ড. লায়লা আশরাফুন তার বক্তব্যের মাধ্যমে শ্রেণিবৈষম্য তৈরি করছেন বলে মন্তব্য আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী শরমিলা সিদ্দিকা মিলার। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় শিক্ষকতা করেও এমন মন্তব্য আমরা কখনোই তার কাছ থেকে আশা করি না। যেখানে একটি পেশাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয়েছে।  কিন্তু চাষাভুষারা তো আমাদেরই পূর্ব পুরুষ।  আমরা এই বক্তব্যেরও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এছাড়া কোন শিক্ষক সম্পর্কে এমন কোন অশালীন বক্তব্য দেয়নি।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে দেখা গেছে, ভিসির বাসভবনের সমানে পুলিশ অবস্থান করছে। তার সামনেই গায়ে কাঁথা জড়িয়ে শোয়ে আছেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের সাথে অনশনে না থাকলেও আশপাশে কাঁথা নিয়ে ঘুমিয়ে ছিল আরও অনেক শিক্ষার্থী।

রোববার পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের পর শাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়র কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। ওই দিনই জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে হলে অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বেগম সিরাজুননেসা ছাত্রী হলের প্রভোস্টের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তারা।

/নূর আহমদ/এসবি/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়