ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শিক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাতে ঢাকায় আসছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল

সিলেট সংবাদদাতা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫১, ২১ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১৭:৫২, ২৩ জানুয়ারি ২০২২
শিক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাতে ঢাকায় আসছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে ঢাকায় আসার সিদ্ধান্ত নেয়।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাদিয়া রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, আমরণ অনশনের তৃতীয় দিন (শুক্রবার) বিকেল ৩টার দিকে আন্দোলনস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে তিনি মুঠোফোনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথা বলিয়ে দেন।

শিক্ষামন্ত্রী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করা ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে কথা বলেন। ‘সব বিষয়ে অবগত আছেন’ জানিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঢাকায় আলোচনায় বসতে আহ্বান জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রীর সেই আহ্বানে সম্মতি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচনার আগ পর্যন্ত অনশন চলবে বলে জানানো হয়।

অপরদিকে ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করতে চাইলে তা নাকচ করে দেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, ভিসি শিক্ষার্থীদের দেখতে আসতে চাইলে পদত্যাগ করে আসতে হবে।

এদিকে অনশনে অসুস্থ ৯ শিক্ষার্থী এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজন কিছুটা সুস্থতা অনুভব করায় হাসপাতাল থেকে পুনরায় অনশনে এসেছেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার দুপুর আড়াইটা থেকে উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরণ অনশনে নামেন শাবিপ্রবির ২৪ শিক্ষার্থী।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের ছাত্রীরা। পরে দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে দেওয়া উপাচার্যের আশ্বাসে হলে ফেরেন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, উপাচার্য তাদের দাবি না মেনে সময়ক্ষেপণের চেষ্টা করেন। পরে সেই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাও ঘটে।

এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে আহত হন শিক্ষার্থীরা। যদিও পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

নূর আহমেদ/কেআই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়