১৭ জন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সম্পন্ন হলো বাল্যবিয়ে
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর কাউন্সিলর ও ১৩ জন মেম্বারের উপস্থিতিতে বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়। চলমান করোনায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে হাজারো মানুষের সমাগমও ঘটে এই বিয়েতে।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) আসরের নামাজ শেষে উপজেলার চম্পাপুর ইউপির নোমরহাট বাজারে বাইতুল নূর জামে মসজিদে এ বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করেন মসজিদের ঈমাম মো.হাফেজ কারী আবদুর রহিম।
স্থানীয় সূত্র জানায়- পাত্র উপজেলার ধানখালী ইউপির মৃত শহীদ মৃধার পুত্র মামুন মৃধা (৩০), পাত্রী চম্পাপুর ইউপির পাটুয়া আল-আমিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষকের মেয়ে (১৬)। মেয়েটি খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছে।
বিয়ের কলমা অনুষ্ঠানে ধানখালী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুদার, চম্পাপুর ইউপি চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার ও পার্শ্ববর্তী আমতলী উপজেলার হলদি বাড়িয়া ইউপির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. মিন্টু মল্লিক স্ব-শরীরে উপস্থিত ছিলেন।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছে। কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই সেখানে হাজারো মানুষের ভিড়। এসময় উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. বাদল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাকে কৌশলে চায়ের দোকানে বসিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন বাল্যবিয়ের নেতৃত্বদানকারী চেয়ারম্যান গণ।
এবষিয়ে খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, মেয়েটি এবছর আমাদের বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। ওর বয়স ১৮ বছরের চেয়ে অনেক কম। তাকে বাল্য বিবাহ দিয়ে অন্যায় করা হয়েছে।
মেয়েটির স্কুলশিক্ষক বাবার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম বলেন- চেয়ারম্যান সাহেবরা কিভাবে দাঁড়িয়ে থেকে বাল্যবিয়ে দেন, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুহাসনাত মো. শহীদুল হক বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ নেই।
ইমরান/টিপু
আরো পড়ুন