চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রেলপথে দ্রুতগতির ইঞ্জিনের ট্রায়াল 

চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রেলপথে দ্রুতগতির নতুন ইঞ্জিনের ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। শক্তিশালী এই ইঞ্জিনের ট্রায়ালে এই রুটে আরও নতুন ট্রেন পাওয়ার স্বপ্ন দেখছে চাঁদপুরবাসী। 

আজ মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ইঞ্জিনের ট্রায়াল দিতে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে ট্রেন ছেড়ে আসে। এ সময় চাঁদপুরের মিটারগেজের এই রেলপথে নতুন ইঞ্জিন চলাচলের উপযুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখতে রেলওয়ে বিভাগের প্রতিনিধি দল চাঁদপুর আসে।  

প্রতিনিধি দলে ডিআরএম শামস আরফিন তুষার, বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ মো. আবু হানিফ, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. আমসার আলী, বিভাগীয় সিগন্যাল এন্ড টেলিকম প্রকৌশলী তন্ময় পাটওয়ারী, আরএনবি কমান্ডেন্ট শফিকুর রহমান, উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. লিয়াকত আলী প্রমুখ ছিলেন।  

রেলওয়ে বিভাগ থেকে খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, দেশে মিটারগেজে চলাচলের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ৪০টি ইঞ্জিন আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুরে একটি ইঞ্জিন ট্রায়ালে এসেছে। অন্যান্য ইঞ্জিনের চেয়ে এটি লম্বা ও উচ্চতায় বড় এবং ওজনেও বেশি। দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ইঞ্জিনটি চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে তিনটি সাদা কোচসহ ছেড়ে আসে। সাদা কোচগুলোও ইঞ্জিনের সঙ্গে ট্রায়ালের জন্য আনা হয়। 

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন রেলওয়ে চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার সোয়াইবুল সিকদার। তিনি বলেন, নতুন ইঞ্জিনটি অত্যাধুনিক হওয়ায় এতে এসি সুবিধা রয়েছে। ইঞ্জিনের হর্স পাওয়ারও বেশি। এই ইঞ্জিনগুলো কোরিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে। এই ইঞ্জিন দিয়ে চালানো হতে পারে চাঁদপুরের মেঘনা এক্সপ্রেস ও সাগরিকা নামের ট্রেন দুটি। 

চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রাম রেলপথে মেঘনা এক্সপ্রেস ও সাগরিকা নামে দুটি ট্রেন চলাচল করছে। কিছুদিন চাঁদপুর-কুমিল্লা রুটে 'ডেমো ট্রেন' চলাচল করলেও করোনাকালীন তা বন্ধ রয়েছে।