ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শীতের তীব্রতায় জবুথবু জীবন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি   || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১২:৫০, ২৬ জানুয়ারি ২০২২
শীতের তীব্রতায় জবুথবু জীবন

দক্ষিণের উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ভোরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাস আর রাত গভীর হলেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যার পর ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে ঠাণ্ডা বাতাস। হাড় কাঁপানো শীতে চরম ভোগান্তি আর দুর্ভোগ নেমে এসেছে জনজীবনে।

বিশেষ করে নদী তীরবর্তী মানুষরা বেশি বিপাকে পড়েছেন। ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।

ঝালকাঠির বিষখালী নদী তীরবর্তী কিস্তাকাঠি গ্রামের ছপুরা বেগমের ঝুপড়ি ঘরে মাথার ওপরে থাকা টিনের চাল দিয়ে ক্রমাগত ঝরে শিশিরের ফোঁটা। সবগুলো কাঁথা একত্র করেও শীত নিবারণ করতে পারছেন না। এভাবেই নদী তীরবর্তী উপকূল অঞ্চলের হাজারো মানুষ এবারের তীব্র শীতে জবুথবু অবস্থায় রয়েছেন।

জানুয়ারির শেষে এসে বিভিন্ন এলাকায় শীতের তীব্রতা অনেক বেশি বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। রাতে শিশিরের ফোঁটা যখন ঘরে পড়ে তখন ঘরকে আরও শীতল করে দেয়। এতে ঘরে থাকা মানুষগুলোর কষ্ট আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। 

শীত যেন এসব দরিদ্র মানুষের কাছে একটু বাড়তি সংকট নিয়ে আসে। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়তি খরচ করার সুযোগ তাদের নেই। নতুন গরম কাপড় কেনার কথা ভাবতেও পারেন না তারা।  

নদী তীরবর্তী এলাকার অধিকাংশ মানুষ মাছ ধরার সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ সময় মানুষের কাজ থাকে না। এ কারণে এ সময় তাদের ঘরে অভাব থাকে। ফলে শীত নিবারণে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন না। আবার বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র দেওয়া হলেও তা এসব মানুষের কাছে পৌঁছায় না। তাই সকাল এবং সন্ধ্যায় একটু উষ্ণতার ছোঁয়া পেতে খড়কুটো অথবা পাতা কুড়িয়ে একত্র করে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন তারা।

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা সূত্রে জানা গেছে, দরিদ্র শীতার্তদের শীত নিবারণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাওয়া ১৬ হাজার পিস কম্বল জেলার ৩২ ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসানের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ লাখ টাকায় ৪৬৮টি কম্বল কিনে শহর ও শহরতলীর হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

এছাড়াও ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের তহবিল থেকে জেলার ৪ উপজেলায় ২৯ লাখ ৬৫ হাজার ৯০৯ টাকার এবং দুটি পৌরসভায় ২ লাখ ১৪ হাজার ১ শ’ ১৯ টাকার কম্বল কিনে বিতরণ করা হয়েছে।

অলোক সাহা/সুমি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়