ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

২৫দিন পর শত-শত নৌযান গন্তব্যে ফিরছে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫১, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১০:১৬, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
২৫দিন পর শত-শত নৌযান গন্তব্যে ফিরছে

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার পাটলাই নদীর পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়লা-চুনাপাথর বোঝাই ৬০০ নৌযান আটকা পড়ে। ২৫ দিন আটকা থাকার ফলে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয় এসব নৌযানে কাজ করা শ্রমিকদের। একইভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হন নৌযান মালিক, ও ব্যবসায়ীরা। তবে গত কয়েক দিন ধরে নদীর পানি বাড়তে থাকায় নৌজট থেকে মুক্তি মিলেছে তাদের।

স্থানীয়রা জানান, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের তিনটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে এলসি করা কয়লা ও চুনাপাথর নিয়ে বাল্কহেড পাটলাই নদী হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। বছরের অন্য সময় এ পথে নৌ চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে নদীর কিছু অংশের পানি কমে নাব্যতা সঙ্কট দেখা দেয়। ফলে তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সুলেমানপুর বাজারসংলগ্ন এলাকায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ নৌজটের সৃষ্টি হয়।

আরো পড়ুন: নাব্যতা সংকটে পটলাই নদীতে তীব্র নৌজট

নৌ শ্রমিক সুফিয়ান মিয়া বলেন, ‘২৫দিন আটকে থাকার পর নদীতে পানি বাড়ায় নৌজট থেকে মুক্তি মিলেছে। অনেক কষ্ট করে কাটিয়েছি এই সময়টা। খাওয়ার জন্যও ভালো পানি পাইনি। পরে নদীর পানিকে ফুটিয়ে খেতে হয়েছে।’

শফিক মিয়া নামে আরেক নৌশ্রমিক বলেন, ‘একই জায়গায় দিনের পর দিন খেয়ে না খেয়ে থেকেছি। প্রতি বছর আমাদের এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি নদীর নাব্যতা সঙ্কট নিরসনে তারা যেন ব্যবস্থা নেন।’

আরো পড়ুন: পটলাই নদীতে তীব্র নৌজট, মিলছে না নিরাপত্তা

নৌশ্রমিক কাজল মিয়া বলেন, ‘নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেলাম, প্রতি বছর আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই পাটলাই নদী খননের জন্য। কিন্তু এই নদীটা খনন করা হয় না। যে কারণে আমাদের শ্রমিকদের পড়তে হয় নানা সমস্যায়।’

তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির বলেন, ‘পাটলাই নদীর পানি কমে যাওয়ার কারণে প্রতি বছর এমন নৌজট সৃষ্টি হয়। তবে পাটলাই নদীটি দ্রুত খনন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। খনন হলে এ সমস্যার সমাধান হবে।’

তানভীর/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়