ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

টিসিবির পণ্য: ফ্যামেলি কার্ড পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫২, ৯ মার্চ ২০২২  
টিসিবির পণ্য: ফ্যামেলি কার্ড পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা

মহানগরীর টুটপাড়ার বাসিন্দা হালিম বেগম। গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। এতে মাসে যে আয় হয়, তা দিয়ে তার সংসার চলে না। মাসের শেষের দিকে ধারদেনা করে চলতে হয়। টিসিবির ট্রাকসেলের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে তেল ও ডাল কিনে কোনোরকমে চলে যায় তার। কিন্তু যখনই তিনি জানতে পারলেন, টিসিবির পণ্য আর এভাবে বিক্রি করা হবে না, তখন থেকে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন। ফ্যামেলি কার্ড কোথায় গেলে পাবেন, তা জানেন না। আদৌ পাবেন কি না, সেটা নিয়েও তিনি সংশয়ে রয়েছেন। 

টুটপাড়া মহির বাড়ি খালপাড় এলাকার ইদ্রিস মিয়া টিসিবির পণ্য কিনতে না পেরে চিন্তিত। ফ্যামেলি কার্ডের সংবাদ শুনে তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। কারণ নুন আনতে পান্তা ফুরায় তার। তেল ও পেঁয়াজের দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে করে তার সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। 

ইদ্রিস মিয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের কাছে দেওয়া হয়েছে ফ্যামেলি কার্ড। এ কার্ড প্রাপ্তি নিয়ে তিনি সংশয়ে রয়েছেন।

খুলনা টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, খুলনা নগর ও উপজেলায় ১ লাখ ৯০ হাজার মানুষ পাবে এ কার্ড। কার্ডগুলো নিম্ন আয়ের পরিবারের একজন সদস্যকে দেওয়া হবে। দুই ধাপে পণ্য বিক্রি হবে। প্রত্যেক ধাপে একজন ফ্যামেলি কার্ডধারী একবার পণ্য কিনতে পারবেন। একজন ক্রেতা এ প্রক্রিয়ায় দুই কেজি চিনি, দুই কেজি ডাল ও দুই কেজি তেল নিতে পারবেন। কার্ড অনুযায়ী ট্রাক থেকে মাল দেওয়া হবে। আগামী ১৫ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। 

খুলনা টিসিবির আঞ্চলিক প্রধান মো. রবিউল মোর্শেদ বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে উপকারভোগীর সংখ্যা নির্ধারণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এ কার্যক্রমের মাধমে এক কোটি হতদরিদ্র মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিতরণ করতে চান। ফ্যামেলি কার্ড ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং জনপ্রতিনিধিরা বিতরণ করবেন। বাণিজ্যমন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে কার্ড এসে গেছে। 

লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য নেয়ার প্রক্রিয়া বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ এ প্রক্রিয়ায় এক লোক বার বার নিতে পারতেন। সেখানে সকলের পণ্য নেয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় শুধু নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এ সুযোগ রাখা হয়েছে।’  

তিনি আরও বলেন, এতে ডিলাদের অনিয়মের সুযোগ থাকবে না। কার্ড সংখ্যা নির্ধারিত। যদি কার্ডধারীদের ডিলার পয়েন্টের কাছে উপস্থিতি না পাওয়া যায়, তাহলে কমিটির লোকজন ওখানকার গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণ করতে পারবে। কোন ওয়ার্ডে কতটা কার্ড আছে, ওই ওয়ার্ডে কতটা ট্রাক লাগবে, সেই পরিমাণ দেওয়া হবে। তবে ট্রাকের পরিমাণ বাড়তে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

নূরুজ্জামান/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়