ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধ  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৩, ১৩ মার্চ ২০২২   আপডেট: ১৪:৪৮, ১৩ মার্চ ২০২২
ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযুক্ত শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম সাত দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি। ফলে পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারে গড়িমসির অভিযোগ এনে এবার সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। 

রোববার (১৩ মার্চ) দুপুর ১২টায় উপজেলার বন্দরে সম্মিলিত ছাত্রজোট ও সম্মিলিত অভিভাবক মহলের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী আন্দোলন করেন তারা। এসময় সড়কজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলেন, ঘটনার পর থেকে ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছি আমরা। মামলার এত দিনেও কেন ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ, তা স্পষ্ট করতে পারেনি পুলিশ। আমরা এর জবাব চাই। তা না হলে কঠিন আন্দোলন করা হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে না পঠানো হবে এবং ন্যায় বিচার করা হবে আমাদের আন্দোলন চলবে। এসময় আরও ৬ ঘণ্টা পুলিশকে সময় দেন আন্দোলনকারীরা৷  

পরে ইউএনও কার্যালয়ে মিছিল নিয়ে অবস্থান নিলে ইউএনও জুলকার নাইন স্টিভের বরাত দিয়ে ওসি ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আসামিকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে।’

জানা যায়,  রাণীশংকৈল উপজেলার সহোদর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে পাইলট হাইস্কুলের শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম পৌর শহরের ভান্ডারা মহল্লার ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন। জানাজানি হলে ওই শিক্ষার্থীর বাবা তৌহিদুলের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তৌহিদুল ১৫ লাখ টাকার যৌতুক চেয়ে বিয়ে করতে চান। মেয়ের বাবা এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ লোকজন গত ৩ মার্চ ওই শিক্ষার্থীকে তৌহিদুলের বাড়িতে রেখে আসেন। শিক্ষার্থী বিয়ের দাবিতে সেই বাড়িতে অবস্থান নিলে তৌহিদুল বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে পরদিন (৪ মার্চ) অন্যত্র বিয়ে করেন। এতে ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষকের বিচার চেয়ে পৌর শহরে মানববন্ধন করেন। ওই দিনই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে রাণীশংকৈল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সেইসঙ্গে ইউএনও এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। 

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) থেকে ওই শিক্ষার্থী বিয়ের দাবিতে অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। 

এবিষয়ে তিনি জানান, কম্পিউটার অপারেটর তৌহিদুলের সঙ্গে আমার ৩ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। এখন তিনি আমাকে এড়িয়ে চলছেন। অন্য জায়গায় বিয়ে করেছেন। আমি আমার অধিকার আদায়ের জন্য তৌহিদুলের বাড়িতে অবস্থান করছি। তার পরিবার আমাকে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাকে বিয়ে না করলে আমি এ বাসা থেকে যাবো না। 

হিমেল/মাহি 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়