ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২১৭ বস্তা চাল গায়েব 

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৬, ১৪ মার্চ ২০২২  
টাঙ্গাইলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২১৭ বস্তা চাল গায়েব 

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২১৭ বস্তা চাল গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের ডিলার নাছরিন ও পাপনের স্টোর রুম থেকে চাল বিতরণের সময় বিষয়টি ধরা পড়ে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল আলম বিজু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল আলম বিজু বলেন, আজ ১০ টাকা কেজির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সেই অনুযায়ী উপকারভোগীরা চাল নিতে আসেন। এ সময় কয়েকজন ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে চালের বস্তা গণনা করলে নাছরিনের স্টোর রুমে ৩০ কেজি ওজনের ১৩০ বস্তা ও পাপনের স্টোর রুমে ৮৭ বস্তা চাল কম পাওয়া যায়। 

তিনি আরও বলেন, ২১৭ বস্তা চাল দুইজন ডিলার বিক্রি করেছেন। এই দুইজন ডিলার দীর্ঘদিন ধরে চাল আত্মসাত করছেন। এ ঘটনায় চাল বিতরণ বন্ধ রয়েছে। তারা চাল আবারও স্টোরে তুললে বিতরণ করা হবে। চাল গায়েবের বিষয়টি ইউএনও এবং খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। 

ডিলার নাছরিন ও পাপনের কাছে বেশ কিছু উপকারভাগীর কার্ড রয়েছে বলেও তিনি জানান। স্থানীয়রা জানান, নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী উপকারভোগীরা উপজেলার ময়থা বাজার এলাকা ও ফুলকী পশ্চিমপাড়া বাজার এলাকায় চাল নিতে আসে। এ সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনে মিলে চালের বস্তার হিসাব নেন।

চাল নিতে আসা জশিজাটী গ্রামের নজরুল, একঢালার আশরাফ আলী, আইসড়া গ্রামের দুলালী রাজবংশী ও কনিকা রাজবংশীসহ একাধিক উপকারভোগী বলেন, ‘নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী চাল নিতে এসেছি। কিন্তু ডিলারদের স্টোরে সব চাল জমা না হওয়ার কথা ফাঁস হলে আমাদের চাল দেয়নি। আমরা প্রায় দেড়শত টাকা খরচ করে চাল নিতে এসেছিলাম।’ 

বাসাইল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কনক কান্তিদেব নাথ বলেন, চাল গায়েব হয়নি। গোড়াইয়ের মাশাফি এগ্রো ফুড ইন্ড্রাস্ট্রিজে পুষ্টিচাল মিশানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে তারা চালের বস্তা কম দিয়েছে। এ জন্য ওই ডিলারদের স্টোরে ২১৭ বস্তা চাল কম হয়েছে। ডিলারদের কাছে ট্যাগ অফিসার ও খাদ্য পরিদর্শককে পাঠানো হয়েছে। এখানে ডিলারদের জালিয়াতির প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে গোড়াই মাশাফি এগ্রো ফুড ইন্ড্রাস্ট্রিজের পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার এখান থেকে সমস্ত চাল তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। আমরা চালের একটি বস্তাও কম দিইনি। চাইলে আমাদের চালান কপি দেখতে পারেন।’ 

এ ব্যাপরে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভিন বলেন, ‘বিষয়টি চেয়ারম্যন সাহেব আমাকে জানিয়েছেন। আমি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে সরেজমিন পরিদর্শনে যেতে বলেছি। উনি পরিদর্শন শেষে রিপোর্ট দিলে নীতিমালা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
 

কাওছার/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়