ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

রংপুরে বধ্যভূমি সংরক্ষণের দাবি

রংপুর প্রতিনিধি   || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪০, ৪ এপ্রিল ২০২২  
রংপুরে বধ্যভূমি সংরক্ষণের দাবি

রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সব বধ্যভূমি সংরক্ষণ, শহীদদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেব স্বীকৃতি ও তার পরিবারের সদস্যদের যথাযথ মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছে দখিগঞ্জ শ্মশান বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ।

সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে দখিগঞ্জ বধ্যভূমি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, একাত্তরের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎস্বর্গকারী শহীদদের আত্মদানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়ন করা না হলে আগামী প্রজন্ম ইতিহাস বিমুখ হবে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে কেনা এদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত রাখতে হবে। 

এ সময় পরিষদের সভাপতি সুশান্ত ভৌমিক অবিলম্বে দখিগঞ্জ শ্মশান বধ্যভূমিতে নির্মাণাধীন অসমাপ্ত স্মৃতিস্তম্ভের কাজ শেষ করার দাবি জানান। একইসঙ্গে আগামী বছর থেকে একযোগে রংপুর জেলার প্রতিটি বধ্যভূমিতে গণহত্যা দিবসে কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। 

দখিগঞ্জ শ্মশান বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক সুশান্ত ভৌমিকের সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোজাহার আলী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি শিক্ষাবিদ বনমালী পাল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা রামকৃষ্ণ স্বোমানী, বিশিষ্ট সংগঠক ও গবেষক ডা. মফিজুল ইসলাম মান্টু, দখিগঞ্জ শ্মশান বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেবদাস ঘোষ দেবু, কোষাধ্যক্ষ পলাশ কান্তি নাগ প্রমুখ।

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩ এপ্রিল রংপুরে হত্যাযজ্ঞ ঘটে। ক্যান্টনমেন্ট থেকে ভ্যানে করে রংপুর-মাহিগঞ্জ সড়কের দখিগঞ্জ শ্মশানে ১১ জন স্বাধীনতাকামী মানুষকে চোখ ও হাত বেঁধে আনে। সেদিন মধ্যরাতে তাদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি সেনারা। ওই ১১ জনের মধ্যে অলৌকিতভাবে প্রাণে বেঁচে যান দীনেশ চন্দ্র ভৌমিক ওরফে মন্টু ডাক্তার।
 

আমিরুল/বকুল 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়