ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘হিজাব বিতর্কে’ এবার জেলহাজতে প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত

নওগাঁ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫১, ১৭ এপ্রিল ২০২২  
‘হিজাব বিতর্কে’ এবার জেলহাজতে প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত

প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণ

হিজাব নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানির অভিযোগে এবার জেলহাজতে পাঠানো হলো নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণকে।

তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন বিদ‌্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল। 

রোববার (১৭ এপ্রিল) নওগাঁ আমলী আদালত ৩ (মহাদেবপুর)-এ হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো. তাইজুল ইসলাম তা নাকচ করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন দৈনিক নওরোজ ও দৈনিক ডেল্টা টাইমস পত্রিকার মহাদেবপুর উপজেলা প্রতিনিধি কিউ এম সাঈদ (৫০) ও মহাদেবপুর দর্পণ নিউজ পোর্টালের প্রতিনিধি সামসুজ্জামান মিলন (৩৮)।

নওগাঁয় হিজাব ইস্যুতে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কমিটির প্রতিবেদনে ৭টি সুনির্দিষ্ট কারণ ও সুপারিশ উল্লেখ করা হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আমোদিনী পাল হিজাবের কারণে নয়; নির্ধারিত স্কুলড্রেস না পরার কারণেই শিক্ষার্থীদের মারধর করেছিলেন। একই দিনে বদিউল আলম নামে আরেক শিক্ষকও মারধর করেছিলেন শিক্ষার্থীদের। অথচ প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে শোকজ করেন। এই ঘটনা তদন্ত কমিটির কাছে উদ্দেশ্যমূলক মনে হয়েছে। শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে শোকজ করায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। 

এ ছাড়া প্রতিবেদনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষার্থীদের প্রহার করায় শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও শিক্ষক বদিউল আলমের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। 

গুজব ছড়ানোর প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক ধরনী কান্ত, শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে দীর্ঘদিনের ত্রিমুখী দ্বন্দ্ব চলছিলো। যা গুজব ছড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়; গুজব ছড়ানোর পেছনে স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের নাম উঠে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

একে সাজু/এনএইচ 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়