ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

মিনি স্টেডিয়ামে বাঁশের হাট, খেলাধূলা ব্যাহত

মঈনুদ্দীন তালুকদার হিমেল, ঠাকুরগাঁও  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৩, ১৭ এপ্রিল ২০২২  
মিনি স্টেডিয়ামে বাঁশের হাট, খেলাধূলা ব্যাহত

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে বাঁশের হাট বসে সপ্তাহে বুধবার। এতে স্থানীয় তরুণদের খেলাধূলা ব্যাহত হয়। 

পৌরসভা হাট ইজারা দিয়েছে বলে নীরব ভূমিকায় রয়েছেন পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান। স্থানীয় তরুণদের দাবি, হাটটি এখান থেকে অপসারণ করা হোক। 

পৌরসভার কাছ থেকে এক বছরের চুক্তিতে হাট ইজারা নিয়েছেন স্থানীয় ইজারাদার শামীম ইসলাম। শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাইজিংবিডিকে অভিযোগ করে স্থানীয় তরুণরা বলেন, পৌরসভার ওয়ার্ড-৮ হ্যালিপ্যাড সংলগ্ন স্টেডিযামে হাটের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে বাঁশ কেনাবেচা। সপ্তাহে একদিন হাট বসলেও বাঁশের খড়কুটোর কারণে গোটা সপ্তাহ খেলাধূলা বন্ধ থাকে তাদের।

ক্রিকেটার রবিন উদ্দীন বলেন, মেয়র কীভাবে একটি স্টেডিয়াম বাঁশের হাট হিসেবে ইজারা দেন তা বোধগম্য নয়। একজন মেয়র কীভাবে ক্রীড়াঙ্গন এভাবে পিছিয়ে রাখেন?

স্থানীয় তরুণ নুহাস ইকরাম বলেন, ‘আমাদের খেলার জন্য একমাত্র মাঠ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। কিন্তু মাঠটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। খেলতে নেমে বাঁশের খড়কুটোতে রক্তাক্ত হয়েছি।’  

হাট বসার আগে মাঠে রোজ ফুটবল খেলতেন মিনার রহমান। তিনি বলেন, ‘আমিসহ অনেকে এখানে অনুশীলনে আসতাম। এখন আসা হয় না। এভাবে বাঁশের হাট বসিয়ে খেলাধূলা বাধাগ্রস্ত করা ঠিক না।’ পৌর কর্তৃপক্ষকে বিষয় ভেবে দেখার আহ্বান জানান তিনি। 

রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড প্রমিলা নারী ফুটবল দলের পরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, তরুণদের প্রতিভা বিকাশের জন্য সরকার প্রত্যেক উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দিয়েছে। কিন্তু সরকারের এ উদ্যোগ ব্যাহত করা হচ্ছ। হাটটি অপসারণ জরুরি।

হাটের ইজারাদার শামীম ইসলাম বলেন, ‘এক বছরের চুক্তিতে হাট ইজারা নিয়েছি। পৌরসভা আমাকে ইজারা দিয়েছে৷ খেলা চললো, না বন্ধ থাকলো— আমার দেখার বিষয় নয়। সপ্তাহে বুধবার হাট লাগে,  সেদিন খেলা ব্যাহত হবে এটাই স্বাভাবিক।’  

নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্টেডিয়াম হওয়ার আগে থেকে সেটি বাঁশের হাট ছিল। 

স্টেডিয়াম হওয়ার পরে বাঁশের হাট হিসেবে পৌরসভা কেন ইজারা দিল— এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। খেলোয়াড়দের অভিযোগ স্টেডিয়ামে বাঁশের খড়কুটো খেলাধূলায় অসুবিধা করে, মেয়র হিসেবে কী ব্যবস্থা নেবেন— জানতে চাইলে মেয়র বলেন, বিষয়টি নিয়ে পরে মন্তব্য করবেন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, ‘ইজারাদারদের সঙ্গে কথা বলে হাটটি স্থানান্তর করার ব্যবস্থা করবো।’
 

হিমেল/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়