ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

১২ বছর পর বন্দীদশা থেকে মুক্ত হলো তরুণী

ফরিদপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৮, ১৮ এপ্রিল ২০২২  
১২ বছর পর বন্দীদশা থেকে মুক্ত হলো তরুণী

ফরিদপুরে দীর্ঘ ১২ বছর পর সেফ হোমের বন্দীদশা থেকে মুক্ত হলো এক তরুণী। 

সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের আদালতে হাজির হয়ে ওই তরুণী জামিন চাইলে বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম ওই তরুণীর জামিন মঞ্জুর করেন। 

জানা যায়, ২০১০ সালের ১ এপ্রিল একটি জিডি মূলে (জিডি নং-৬২ ক্রমিক ১৩/১০) ওই তরুণীকে ফরিদপুরের মহিলা ও শিশু-কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রে (সেফ হোম) রাখা হয়। তখন ওই তরুণীর বয়স ছিল ১০ বছর। এরপর দীর্ঘদিন যাবৎ সেখানেই অবস্থান করছিল ওই তরুণী। ৩ মাস পূর্বে সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে ব্লাস্টের আইনজীবী অর্চনা দাস বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর থেকেই ব্লাস্টের মাধ্যমে ওই তরুণীকে মুক্ত করার আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেন।

ব্লাস্ট ফরিদপুরের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী বলেন, অসহায় নারীদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিয়ে থাকে ব্লাস্ট। এরই ধারাবাহিকতায় সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে ওই তরুণীর বিষয়টি জানতে পারি। পরে সেফ হোমে গিয়ে তই তরুণীর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আমরা তাকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করি। 

শিপ্রা গোস্বামী বলেন, ওই তরুণীর বয়স এখন ২২ বছর। ঠিকানা, পিতা মাতা কারো কথাই বলতে পারে না। মুক্ত হওয়ার পর তাকে নিরাপদ স্থানে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের সমাজে সকল তরুণী প্রজাপতির মতো রঙিন ডানা মেলে ঘুরে বেড়াক সেই প্রত্যাশা করি।

ফরিদপুরের মহিলা ও শিশু-কিশোরী হেফাজতীদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রের (সেফ হোম) উপ-তত্বাবধায়ক তাহসিনা জামান বলেন, ২০১০ সালের পহেলা এপ্রিল একটি জিডি মূলে (জিডি নং-৬২ ক্রমিক ১৩/১০) ওই তরুণীকে ফরিদপুরের মহিলা ও শিশু-কিশোরী হেফাজতীদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রে (সেফ হোম) রাখা হয়। ওই সময় সে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। পরে ওই তরুণীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর সেফ হোমে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর কিছুটা সুস্থ হলে ২০১৬ সালে পুনরায় ফরিদপুর সেফ হোমে আনা হয়। সে এখন সুস্থ, তবে তার পরিচয় বা বাড়ির ঠিকানা বলতে পারেনা। 

উজ্বল/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়