ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

স্কুলে কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ: দুদকের ৩ মামলা দায়ের

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০২, ২০ এপ্রিল ২০২২   আপডেট: ২১:০৬, ২০ এপ্রিল ২০২২
স্কুলে কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ: দুদকের ৩ মামলা দায়ের

কুষ্টিয়ার খোকসায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র ও রুটিন মেরামত কাজের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন ৩টি মামলা দায়ের করেছে। আরও তিনটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়া আদালতে দায়েরকৃত মামলায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল আখতারসহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির তিনজন সভাপতি, এ সব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, উপজেলা প্রকৌশলী এবং একজন সহকারী শিক্ষা অফিসারকে আসামি করা হয়েছে। দুদকের পক্ষে তিনটি মামলার এজাহার দাখিল করেছেন উপপরিচালক (সংযুক্ত) মো. আলমগীর হোসেন।

দুদক সূত্র জানায়, ১০১৯-২০ অর্থবছরে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে উপজেলার বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামত ও উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ আসে। বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে কাজ না করেই বেশিরভাগ স্কুলের প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, শিক্ষক সমিতির নেতা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ তুলে আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগ ওঠে। দুদকের তদন্তে অভিযোগের প্রমাণও মেলে। এ আলোকে ৬ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি, এসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক প্রধান কার্যালয়।

এ সিদ্ধান্তের আলোকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে, উপজেলার মাছুয়াঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকর্ণ কুমার বিশ্বাস, খোকসা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বাবুল আখতার, মামুদানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার বিশ্বাস, সভাপতি মাহিমা রঞ্জন মৈত্র, ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর হক, সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং স্থানীয় সরকারী প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুস সামাদ ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হোসাইন মোহম্মদ বেলালকে।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক সমন্বিত কুষ্টিয়া কার্যালয়ের উপপরিচালক জাকারিয়া কিছু দিন পূর্বে সরেজমিন তদন্ত করে বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে কোনো কাজ না করে তা আত্মসাত করার প্রমাণ পান।  

দুদক কর্মকর্তারা তদন্তকালে এসব স্কুলে মাটি ভরাটসহ অন্য যেসব সংস্কার কাজ হওয়ার কথা ছিল, তার কিছুই হয়নি বলে জানতে পারেন। তদন্ত শেষে মামলার আরজি জানিয়ে দুদক প্রধান কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এরপর দুর্নীতির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে বিভাগীয় কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে মামলা করার পাশাপাশি তদন্ত কর্মকর্তা ও তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের কৌসুলি আল-মুজাহিদ জানান, দুদকের পক্ষ থেকে বিজ্ঞ আদালতের কাছে এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুর আরজি দিয়েছি। যদিও বর্তমান সমাজ বাস্তবতায় ছোট অভিযোগের অনেক বড় মামলা হয়েছে মনে হলেও আইনের চোখে এ জাতীয় অপরাধকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।

কাঞ্চন/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়