ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ব্যস্ততা বেড়েছে পাদুকা কারিগরদের

রংপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪২, ২১ এপ্রিল ২০২২   আপডেট: ১১:০১, ২১ এপ্রিল ২০২২
ব্যস্ততা বেড়েছে পাদুকা কারিগরদের

ঈদকে সামনে রেখে স্যন্ডেল তৈরিতে ব্যস্ত পাদুকা কারিগররা

ঈদের বাকি আর মাত্র ১১ দিন। এরই মধ্যে করোনা মহামারীর ধাক্কা কাটিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে শুরু করেছেন রংপুরের স্যান্ডেল তৈরির (পাদুকা) কারিগররা। দোকান থেকে পাওয়া অর্ডার অনুযায়ী এখন তারা পণ্য ডেলিভারি দিতে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

বুধবার (২০এপ্রিল) বিকেলে রংপুর নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড়ের পাশের সিঙ্গার গলির তিনটি ছোট কারখানায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। এছাড়াও নগরীর আরো ১০-১২ টি কারখানার শ্রমিকরা স্যান্ডেল তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

দুইফিতা, বেল্ট ও সাইকেল সুজ সাইজের জুতা বা স্যান্ডেল তৈরিতে রাবার কার্টিজ থেকে শুরু করে আঠা বসান, ফিনিশিং, প্রিন্টিং সবই হচ্ছে কাড়িগরদের হাতের নিখুঁত ছোঁয়ায়। শুধু সাইড ফিনিশিংয়ের কাজটা হয় মেশিন দিয়ে।

জানা গেছে, চাহিদা অনুযায়ী কারিগররা তৈরি করছেন নানান মাপের স্যান্ডেল। সমাজের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ তাদের মূল ক্রেতা। ফলে সাইজ ও মান অনুযায়ী প্রত্যেক জোড়া স্যান্ডেল বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৫৫০ টাকায়। 

প্রিয়াংকা সু স্টোরে স্যান্ডেল কিনতে আসা কলেজ পড়ুয়া অবদান হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন,  ‘হাতে তৈরি করা এসব স্যান্ডেল অনেক দিন ধরে ব্যবহার করা সম্ভব। এর দামও অনেক কম। গত বছর দুই জোড়া কিনেছিলাম এবারও এসেছি আমারসহ পরিবারের পুরুষ সদস্যদের জন্য কয়েক জোড়া কিনতে।'

রিপোর্টার্স ক্লাব লেনের ‘রাসেল সুজ’ কারখানার সত্ত্বাধিকারী ধনজিৎ দাস রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘করোনার কারণে গত দুই বছর ব্যবসা খুবই খারাপ ছিলো। এবারের রমজানে অতিমারী করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় নগরী ছাড়াও উপজেলা শহরগুলোর পাইকারি দোকানগুলো থেকে অর্ডার পেয়েছি। তাই ঈদকে ঘিরে কারিগর দিয়ে রাত দিন পরিশ্রম করে বিভিন্ন সাইজের স্যান্ডেল তৈরি করা হচ্ছে। আমার কারখানাতে এখন প্রতিদিন ৬ জন কারিগর কাজ করছে। প্রতিদিন তাদের ৫০০-৬০০ টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে।'

পাশের মানিক ট্রেডার্স এর কারিগড় সঞ্জয় কুমার বলেন, 'কাজের চাপ অনেক। তাছাড়া টার্গেট আছে মালিকের। বিভিন্ন দেকান থেকে অর্ডার নেওয়া জুতাগুলো ডেলিভারি দিতে হবে ২৫ রমজানের মধ্যে। আর স্যান্ডেল আমাদের নিজস্ব দোকানে খুচরা বিক্রি করা ছাড়াও আশপাশের ছোট ছোট দোকানেও দেওয়া হবে। এ কারণে একটু ব্যস্ততা বেড়েছে।'

আহসান বুট হাউস-এর আফজাল হোসেন বলেন, ‘ঈদের শেষ সপ্তাহে স্যান্ডেলের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। তবে ঈদের আগের রাতে আমাদের বানানো স্যান্ডেল সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। আর এ স্যান্ডেলের ক্রেতাও অনেক।’

রংপুর মহানগর দোকান মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সাধারণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্যান্ডেল কিনে থাকেন। আর তাই স্যান্ডেলের বিক্রিও বেশি। রংপুর মহানগরে স্যান্ডেল তৈরির ছোটবড় মোট ১২টির মতো কারখানা রয়েছে।’ 

আমিরুল/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়