দুর্ভোগ কমছে না দৌলতদিয়ায়, ৭দিন বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার
রাজবাড়ী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সৃষ্ট হওয়া যানজট এখনো রয়েছে
দুর্ভোগ কমছেই না দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সৃষ্ট হওয়া যানজট এখনো বিদ্যমান। ফলে আসন্ন ঈদে এই দুর্ভোগ বাড়বে আরো কয়েকগুণ। এদিকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিগ্ন করতে ঈদের দিনসহ তার আগে ও পরে মোট ৭ দিন অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক এই ঘাট দিয়ে পারাপার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের সারি। তীব্র গরমে রোজা রেখে কষ্ট পেতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের। ফেরির নাগাল পেতে যাত্রীবাহী বাসকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। আর পণ্যবাহী ট্রাকের সময় লাগছে ২৪ ঘণ্টার মতো।
এদিকে ঈদের পূর্বপ্রস্তুতি হিসাবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২১ টি ফেরি চলাচলের কথা থাকলেও এখনো এসে যুক্ত হয়নি নতুন দুটি ফেরি। এছাড়া ৩টি ফেরি মেরামতে পাঠানো হয়েছে। ফলে এই নৌরুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি দিয়ে যানবহন পারাপার করা হচ্ছে।
জানা গেছে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে রো রো ফেরি রয়েছে ৮টি, ইউটিলিটি ফেরি ৫টি, ড্রাম ফেরি ২টি ও কেটাইপ ফেরি রয়েছে ১টি। ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, নষ্ট তিনটি ফেরি এবং নতুন দুটি অর্থাৎ ৫ টি ফেরি সংযুক্ত হলে যানজট কিছুটা কমবে। একই সঙ্গে ঈদের আগে ও পরে ৩দিন করে এবং ঈদের দিনসহ মোট ৭ দিন এই নৌ-রুটে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে।
বিআইডাব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ‘ঈদের ৩ দিন আগ থেকে অপচনশীল পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে তাই এই ট্রাকগুলো এখনই পার করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে যানজট বেড়েছে।’
একাধিক ট্রাক চালক জানান, তারা গভীর রাত থেকে ঘাটের সিরিয়ালে আটকে আছেন। এইভাবে এক ট্রিপে তাদের ৩/৪ দিন চলে গেলে যেমন আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া ঘাট এলাকায় থাকার ব্যবস্থা না থাকায় কষ্ট হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
বাসের যাত্রীদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা বিরক্তি সহকারে বলেন, যারা প্রতিনিয়ত এই রুট দিয়ে যাতায়াত করে তারাই জানে এই ফেরিঘাটে কি পরিমাণ দুর্ভোগ রয়েছে।
সুকান্ত/ মাসুদ
আরো পড়ুন