ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শেরপুরে কাটা হলো সড়কের শতবর্ষী গাছ

শেরপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২০, ২৫ এপ্রিল ২০২২  
শেরপুরে কাটা হলো সড়কের শতবর্ষী গাছ

শেরপুর পৌর শহরের প্রধান সড়কের সজবরখিলা থেকে খোয়ারার পাড় মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের শত বছরের পুরনো আমসহ অন্যান্য গাছ কেটে ফেলেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

শেরপুর জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে দিয়ে প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক রয়েছে। ওই সড়কের দুইপাশে প্রায় শত বছরের পুরনো আম, কাঁঠাল, জামসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ছিল,  যা পর্যায়ক্রমে রাস্তার উন্নয়ন বা প্রশস্তকরণ কাজে কাটা পড়ে যায়। সর্বশেষ শত বছরের স্মৃতি হিসেবে শহরের সজবরখিলা থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরত্বের খোয়ারারপাড় মোড় পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিশাল আকারের আম গাছ ছিল। শনিবার (২৩ এপ্রিল) সেগুলো কেটে ফেলা হলো ওই সড়কের প্রশস্তকরণের নামে।

এ সব গাছ কাটার বিষয়ে স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। পরে তারা এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে বিষয়টি ভাইরাল হয়। তবে এই গাছ কাটার বিষয়ে শহরের কোনো সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন প্রতিবাদ করেনি বা এগিয়ে আসেনি। 
এসব গাছ কাটার বিষয়ে সামাজিক সংগঠন জনউদ্যোগের সদস্য সচিব হাকিম বাবুল বলেন, উন্নয়নের জন্য পরিবেশের ক্ষতি হলে ক্ষতি পোষাতে দ্বিগুণ গাছ রোপনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি ও সমাজসেবক মো. সোলাইমান বলেন, দেশের বহু স্থানে পরিবেশ রক্ষার নানা নির্দশন রয়েছে, যেখানে রাস্তার মাঝখানে গাছ রেখে দুই পার্শ্বে রাস্তার প্রশস্ত কাজ করা হয়। ওই সড়কেও সেটা করা যেতো। কিন্তু শত বছরের পুরনো শেষ স্মৃতি চিহৃটুকুও শেষ হয়ে গেলো।

এ বিষয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীণ ভয়েজ এর সমন্বয়ক মারুফুর রহমান বলেন, এমনিতে শহরের সবুজ কমে যাচ্ছে, তার উপর শতবর্ষের ওই আমগাছগুলো কেটে ফেলায় পরিবেশে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও জীববৈচিত্রেরও বিরূপ প্রভাব পড়বে। কারণ ওইসব পুরাতন গাছে অসংখ্য পাখ-পাখালির আশ্রয় ছিলো। এখন শহরকে সবুজ রাখতে উদ্যোগ নিতে হবে।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, রাস্তা প্রশস্তকরণে বিকল্প ব্যবস্থা ছিলো না বিধায় গাছগুলো কাটা হয়েছে। তবে পরিবেশ বিভাগের জরিপ করে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো কাটা হয়েছে। রাস্তার কাজ শেষ হলে দুইপাশে নতুন করে গাছ রোপণের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে।
 

তারিকুল/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়