গরমে দিশেহারা খেটে খাওয়া মানুষ
পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
প্রচণ্ড গরমে পটুয়াখালীর হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা
সারা দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। সোমবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পটুয়াখালী জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন জেলার নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। গরমের কারণে চিন্তার ভাঁজ কপালে পড়েছে মৌসুমী সবজি চাষিদের। এছাড়া জেলার সব হাসপাতাগুলোতে বেড়েছে চর্ম ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা।
এদিকে আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রার এই অবস্থা বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
জেলার কলাপাড়া পৌর শহরের লঞ্চঘাট এলাকার দিনমজুর রহমান মিয়া বলেন, ‘মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) হাটের দিন। সকালে ট্রলারযোগে বিভিন্ন এলাকা থেকে নৌপথে কাঁচামাল এসেছে। এসব কাঁচামাল হাটে নিয়ে যেতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। শুধু গরম আর গরম। ঘেমে একাকার হয়ে গেছি।’
একই এলাকার পঞ্চাশোর্ধ্ব রিক্সা চালক সমির মিয়া বলেন, ‘এতোটা রোদের তাপ আগে কখনো পড়েনি। কয়েকদিন ধরে অসহনীয় গরম পড়ছে। রাস্তায় রিক্সা নিয়ে বেড়োনো দায় হয়ে যাচ্ছে। তারপরও পেটের তাগিদে বের হচ্ছি।’
উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক ছালেক মিয়া বলেন, ‘কয়েকদিনের প্রচণ্ড গরমে গাছ পালা পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রোদ্রের খড়তাপে মাঠ-ঘাট ফেটে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা সবজি চাষিরা বড় ক্ষতির মুখে পড়বো।’
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিনময় হাওলাদার বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে জেলার প্রতিটি হাসপাতালে ডায়রিয়া ও চর্ম রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব রোগ থেকে বাঁচতে বেশি করে বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। একই সঙ্গে সবাইকে স্বাস্থ বিধি মেনে চলতে হবে।’
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ‘আগামী বৃহস্পতিবারের আগে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। এছাড়া পুরো সপ্তাহ জুড়ে তাপপ্রবাহের বর্তমান অবস্থা বিরাজ করতে পারে।’
ইমরান/ মাসুদ
আরো পড়ুন