আশ্রয়ণের বাড়ি পেয়ে আনন্দিত পঞ্চগড়ের ১০২১ গৃহহীন পরিবার

প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পর এবার তৃতীয় ধাপে পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলার ১ হাজার ২১টি অসহায়, ছিন্নমূল ও ভূমিহীন পরিবার পেলেন প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে দুই শতক জমির মালিকানাসহ বাড়ি। এতে তাদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। 

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে জমিসহ বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সদর উপজেলা প্রশাসন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরপরই সদর উপজেলার উপকারভোগীদের হাতে ৪৭০টি জমির দলিল ও বাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। 

এদিকে একই সময়ে জেলার বোদা, তেঁতুলিয়া, দেবীগঞ্জ ও আটোয়ারী উপজেলাতেও উপকারভোগীদের মধ্যে ৫৫১টি জমিসহ বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেন স্ব স্ব উপজেলা প্রশাসন।

সদর উপজেলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আল তারিক, নিলুফার ইয়াসমিন, মুক্তিযোদ্ধা এটিএম সারোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণমাধ্যম কর্মীরা। 

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম দফায় পঞ্চগড় জেলার ১ হাজার ২১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমির সঙ্গে সেমিপাকা বাড়ি হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৭০টি, বোদা উপজেলায় ১৪৫টি, দেবীগঞ্জ উপজেলায় ২০০টি, তেঁতুলিয়া উপজেলায় ১৫০টি এবং আটোয়ারী উপজেলায় ৫৬টি বাড়ি রয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে পঞ্চগড়ে ২ হাজার ৪১৬টি পরিবারকে খাসজমি বন্দোবস্তসহ সেমিপাকা বাড়ি দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ জেলার মোট ৩ হাজার ৪৩৭টি গৃহহীন পরিবার সরকারের উপহারের ঘরের মালিক হলেন। 

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৪ হাজার ৮৫০টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৬৩ দশমিক ৪৮ একর খাসজমি অবৈধ দখল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। চলতি অর্থ বছরেই চিহ্নিত সব ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের পূণর্বাসনের কাজ শেষ করে পঞ্চগড় জেলাকে দেশের প্রথম ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত জেলা ঘোষণা করা হবে।