ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বগুড়ায় পরকীয়ার জেরে খুন হয় লাবলু : পুলিশ

বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩২, ২৭ এপ্রিল ২০২২  
বগুড়ায় পরকীয়ার জেরে খুন হয় লাবলু : পুলিশ

হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি ফরিদা বেগম

দীর্ঘ ৬ বছর পর বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার লাবলু সরকার হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনার মূল আসামি ফরিদা বেগমকে (৪৫) এবং তার সহযোগী গফুরকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ফরিদা লাবলুর সাবেক স্ত্রী। মূলত লাবলুর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে খুন করে সাবেক স্ত্রী ফরিদা ও তার সহযোগীরা।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে পিবিআই বগুড়ার পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য তুলে ধরেন।

২০১৬ সালের ১১ জুলাই শিবগঞ্জ উপজেলার বৃষ্ণপুর গ্রামের মেহগনি বাগান থেকে গরু ব্যবসায়ী লাবলুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে লাবলুর স্ত্রী নূর জাহান খাতুন। পরে মামলার তদন্ত ভার পায় পিবিআই।

পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন বলেন, এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যা। লাবলু ও ফরিদার মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল, যা ফরিদার স্বামী মিনু বেপারী জানতে পারে এবং তাকে তালাক দেয়। তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার পর লাবুল ফরিদা বেগমকে বিয়ের ছয় দিন পর তালাক দেয়। তালাক দেয়ার পরও লাবলু আসামি ফরিদাকে জিম্মি করে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক করতো। যার ফলে ফরিদা বেগমের মনে লাবলুর প্রতি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। লাবলুর কারণে পূর্বের স্বামীর দ্বারা তালাকপ্রাপ্ত ও জিম্মি করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনসহ বিভিন্ন কারণে লাবলুর উপর আসামি ফরিদা বেগম প্রতিশোধ প্রবণ হয়ে ওঠে এবং তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। 

পুলিশ সুপার বলেন, ২০১৬ সালের ১০ মে রাত ৯টায় শারীরিক সম্পর্কের লোভ দেখিয়ে ফরিদা বেগম মোবাইল ফোনে লাবলুকে বৃষ্ণপুর গ্রামে মেহগনি বাগানে আসতে বলে। লাবলু ওই স্থানে আসার পর পরিকল্পনা অনুযায়ী ফরিদা সহযোগীদের সহায়তায় হাত-পা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে লাবলুকে হত্যা করে। 

তিনি আরও বলেন, হত্যার পর ফরিদা নিজ এলাকা ছেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পলাতক থাকে। গত ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে ফরিদাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরে তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন জবানবন্দিতে হত্যায় সম্পৃক্ত থাকার বিষয় ও ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি। একই সঙ্গে হত্যায় জড়িত অন্যদের নাম প্রকাশ করেন। তার জবানবন্দি অনুযায়ী আব্দুল গফুর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফরিদা বেগম ও আব্দুল গফুরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। 

এনাম/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়