ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিল নারীরা

ফরিদপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৯, ১ মে ২০২২   আপডেট: ১৭:৫০, ১ মে ২০২২
পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিল নারীরা

ফরিদপুরের সালথায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (১ মে) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের ছয়আনি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের উপর হামলা মামলার আসামি তারা মিয়াকে (৫৩) গ্রেপ্তার করেন সালথা থানার এসআই খারদিয়া এলাকার বিট কর্মকর্তা মো. নাজমুল ও এএসআই মো. লিয়াকত হোসেন। তাদের গ্রেপ্তার অভিযানের সময় রুখে দাঁড়ায় ওখানকার কয়েকজন নারী। ১৮ থেকে ২০ জন নারী চড়াও হয়ে ওই দুই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় ওই আসামিকে। ছিনিয়ে নেওয়া আসামি তারা মিয়া খারদিয়ার ছয়আনি পাড়ার বাসিন্দা মোফাজ্জেল মিয়ার ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) সুমিনুর রহমান বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল ও  লিয়াকত আসামি তারা মিয়াকে ধরে ফেলেছিল। কিন্তু ওই সময় ওই এলাকার ১৮ থেকে ২০ জন নারী এগিয়ে এসে পুলিশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। নারীরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ধরে আলাদা করে ফেলেন। ওই সুযোগে পালিয়ে যান তারা মিয়া। 
তিনি আরও বলেন, পুলিশের এ অভিযানে কোনো নারী পুলিশ না থাকায় নারীদের পক্ষে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া সহজ হয়েছে।

খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যদুনন্দী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে ওই এলাকায় বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

গত ২১ এপ্রিল খারদিয়া এলাকায় এই দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ থামাতে আহত হয় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় পরে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে মামলা হয়। মামলার আসামি হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়া গ্রেপ্তার হন। গত বৃহস্পতিবার উভয়েই আদালত থেকে জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরে আসেন।

তারা মিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সমর্থক। তিনিও পুলিশের উপর হামলার মামলার আসামি। এছাড়া তার নামে ২০১৯ সালে একটি এবং ২০২০ সালে দুটি মামলা রয়েছে। চার মামলার এ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে নারীদের হামলার শিকার হন ওই দুই পুলিশ সদস্য।

তবে ঘটনার বিষয়ে যদুনন্দী ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিক মোল্যার বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

উজ্জল/ সুমি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়