পেট্রোল ও অকটেন শূন্য কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের পাম্পগুলো পেট্রোল ও অকটেন শুন্য হয়ে পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন মোটরসাইকেল চালকসহ পেট্রোল চালিত গাড়ির মালিকরা। 

জানা গেছে, ঈদের পর দিন থেকে কুড়িগ্রাম জেলা শহরসহ ৯ উপজেলার ১৯টি তেলের পাম্প পেট্রোল ও অকটেন শূন্য হয়ে পড়ে। এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে পেট্রোল ও অকটেন বিক্রি করছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক ক্রেতা।

কুড়িগ্রাম শহরের প্রিয়ম পেট্রোল পাম্পের মালিক জামান আহমেদ জানান, ঈদে পেট্রোল ও অকটেনের চাহিদা বেশি ছিল। এছাড়া ডিপোগুলোতে সরবরাহ সংকট থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন সরবরাহকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাহা ফিলিং স্টেশনে ঈদের আগের দিন বিকেলে পেট্রোল আর ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে অকটেন শেষ হয়ে যায়। 

ভুরুঙ্গামারী উপজেলার মাহবুব নামের এক মোটরসাইকেল চালক জানান, ঈদের আগের দিন ভূরুঙ্গামারীতে পেট্রোল না পেয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলার জুলেখা ফিলিং স্টেশনে যান। সেখানেও পেট্রোল না পেয়ে অকটেন নেন। তবে আজ (শনিবার) কোথাও পেট্রোল বা অকটেন পাননি। 

মোস্তাফিজুর নামের আরেকজন জানান, গত শুক্রবার বাইরের দোকান থেকে এক লিটার অকটেন ১৬০ টাকায় কিনেছেন কিন্তু আজ শনিবার কোথাও কোনো পেট্রোল বা অকটেন পাওয়া যাচ্ছে না। 

এ অবস্থায় জেলার বেশিরভাগ ফিলিং স্টেশনে পেট্রোল ও অকটেন না থাকায় তা বন্ধ রাখা হয়েছে। 

এ বিষয়ে মেসার্স সাহা ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার শ্রী আনন্দ চক্রবর্তী বলেন, ‘ঈদের সময় আমাদের যে পরিমাণ পেট্রোলের প্রয়োজন ছিল, তা আমরা পাইনি। মূলত ডিপো থেকেই সংকট ছিল। আমাদের কুড়িগ্রাম পেট্রোল পাম্পে মাত্র অর্ধেক লরি ফুয়েল পাই। সেটি দিয়ে আমাদের তিনটি স্টেশন চলে। আমাদের এখানে যা ছিলো, সেটা ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। গতকাল থেকে আমাদের ভুরুঙ্গামারী এবং নাগেশ্বরী স্টেশনে পেট্রোল এবং অকটেন সরবরাহ বন্ধ আছে। আশাকরছি দুয়েকদিনের মধ্যেই সেটা আবার পুনরায় চালু হবে।’

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘পেট্রোল ও অকটেন সংকটের বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। ডিপোগুলো এখন সরবরাহ বেড়েছে। পাম্পের মালিকরা নিয়ে আসলেই সংকট কেটে যাবে।’