ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

নীলফামারীতে পেট্রোল সঙ্কট চরমে

নীলফামারী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৭, ৮ মে ২০২২  
নীলফামারীতে পেট্রোল সঙ্কট চরমে

চাহিদা অনুযায়ী পোট্রোল ও অকটেন সরবরাহ না থাকায় নীলফামারীতে জ্বালানি তেলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। জেলার ছয় উপজেলার ৩৬টি ফুয়েল ষ্টেশনে গত ৭দিন থেকে পেট্রোল বিক্রি বন্ধ রয়েছে। ডিপো থেকে সরবরহ না থাকার ফলেই এমনটি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। 

ব্যবসায়ীরা জানান, নানান অজুহাত দেখিয়ে তেল কোম্পানিগুলো কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। তবে এখন পর্যন্ত ডিজেল ও কেরোসিনের সরবরাহ ঠিক রয়েছে।

এদিকে পেট্রোল সঙ্কটের কারণে বিভিন্ন পরিবহনের চালকরা ফুয়েল ষ্টেশন ঘুরে অকটেন ব্যবহার করেছেন। এ অবস্থায় খরচ বেড়ে যাওয়া আর পরিমাণ মতো গাড়ির জন্য জ্বালানি না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

বেসরকারি একটি কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগে কাজ করা এক ব্যাক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে  বলেন, সকাল থেকে ৩-৪টা পেট্রোলে পাম্পে গেছি কোথাও পেট্রোল নেই। দুই একাটি পাম্পে  অকটেন থাকলেও ২০০ টাকার বেশি বিক্রি করছে না তারা। কোম্পানিতে চাকরি করি, টাকা কালেকশন না করলে চাকরি থাকবে না। তাই অতিরিক্ত দামে মোটরসাইকেলের জন্য অকটেন কিনেছি। 

আলতাফ হোসেন নামে অপর এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, ‘তেল সঙ্কট এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পক্ষে গাড়ি চালানো সম্ভব হবে না। আমরা চাই দ্রত পেট্রোল ও অকটেনের সরবারহ স্বাভাবিক হোক।’

পেট্রোল না থাকার কথা স্বীকার করলেও বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কাছে নিজেদের নিরূপায় দাবি করছেন পাম্পের কর্মচারীরা।

নীলফামারীর কালিতলা এলাকার রফিকুল আলম ফিলিং ষ্টেশনের ম্যানেজার শাহ্ আলম বলেন, ‘৭দিন আগেই আমাদের পেট্রোলের ষ্টোক শেষ হয়েছ। এখন অকটেন বিক্রি করছি। অকটেনও শেষের পথে। ডিপো থেকে তেলে সরবরহ নেই।’

নীলফামারী জেলা পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকতার হোসেন স্বপন বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরে তেলের জন্য ব্যাংকের মাধ্যমে পে-অর্ডার পাঠানোর পরও কোম্পানির ডিপোগুলো থেকে পেট্রোল ও অকটেন সরবরাহ করছে না। জেলার কোনো ফুয়েল ষ্টেশনেই গত সাত দিন থেকে পেট্রোল বিক্রি করতে পারেনি মজুদ না থাকার কারণে। অকটেন সরবরহও বন্ধ হয়ে যাবো দুই-একদিনের মধ্যেই। ফলে ব্যবসায়ী ও ভোক্তা দুই পক্ষই ভোগান্তির স্বীকার হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ডিপো থেকে বিপিসি'র মাধ্যমে যদি জেলা ভিত্তিক তেল বন্টন করা যেত তাহলে তেলের সঙ্কট কমে যেত। জ্বালানি তেলের সঙ্কট এভাবে প্রকট আকার ধারণ করতো না।’

সিথুন/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়