ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আসানি: পটুয়াখালীতে বৃষ্টি, ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা

পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৮, ১০ মে ২০২২   আপডেট: ১২:২০, ১০ মে ২০২২
আসানি: পটুয়াখালীতে বৃষ্টি, ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা

ঘূর্ণিঝড় আসানির কারণে পটুয়াখালীর উপকূলে হচ্ছে বৃষ্টিপাত

ঘূর্ণিঝড় আসানির প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। এছাড়া সোমবার থেকে পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির এই ধারা অব্যাহত থাকলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন মুগডাল ও বোরো ধান চাষিরা। 

মঙ্গলবার (১০ মে) আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূণিঝড় ‘আসানি’ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ঝড়টি আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৬টার দিকে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ১৪০ কিলোমিটার ও মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিলো। ঝড়ের কারণে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া দপ্তর। 

এছাড়া গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া সব ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ মাছ ধরা ট্রলার মৎস্য বন্দর মহিপুর ও আলীপুরের শিববাড়িয়া নদীতে ফিরে আসতে শুরু করেছে। 

এদিকে পটুয়াখালী নদী বন্দরসহ খুলনা, বরিশাল, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের দক্ষিণ-পূর্ব/পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

দেশের অন্যত্র দক্ষিন-পূর্ব/পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীর বন্দর সমূহকে এক নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবাহওয়া অফিস। 

কলাপাড়া উপজেলার ধুলাস্বার ইউনিয়নের চর চাপলী গ্রামের মফেজ তালুকদার বলেন, ‘আমাদের এলাকার সব মুগডালের ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকলে ডাল পচে যাবে এবং আমরা বড় ক্ষতির মুখে পড়বো।’ 

চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের কৃষক ছালাম মিয়া বলেন, ‘এ বছর বোরো ধানের বেশ ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু গত দুই দিনের বৃষ্টিতে সব ক্ষেত তলিয়ে গেছে। আরও বৃষ্টি হলে ধানের চারা নুইয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং জলাবদ্ধতায় ধান ক্ষেত পচন ধরার আশঙ্কা রয়েছে।’ 

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, বৃষ্টি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। ঘূর্ণিঝড় আসানি ভারতীয় ‍উপকূলের দিক অগ্রসর হচ্ছে। তবে এটি ঠিক কোন সময় কোন এলাকায় আঘাত হানবে সেটি এখনো বলা যাচ্ছেনা। 

ইমরান/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়