ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মরা মুরগির মাংস বিক্রি, ২ ব্যবসায়ীর অর্থদণ্ড

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৬, ১১ মে ২০২২  
মরা মুরগির মাংস বিক্রি, ২ ব্যবসায়ীর অর্থদণ্ড

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় মরা ব্রয়লার মুরগির মাংস বিক্রি এবং সেই মাংস রান্না করে বিক্রির দায়ে দুই ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (১১ মে) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন এ দণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরা হলেন— বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী রোডের আল আমিন হোটেলের স্বত্বাধিকারী সেলিম উদ্দীন এবং কাঁচা বাজারের ব্রয়লার মুরগির মাংস বিক্রেতা আবুল।

মঙ্গলবার (১০ মে) মাংস বিক্রেতা আবুলের কাছ থেকে ২০ কেজি মাংস কেনেন হোটেল মালিক সেলিম। এই মাংস ছিল মরা মুরগির। এই মাংস রান্না করে প্রায় তিন কেজি পরিমাণ বিক্রিও করেন তিনি। পরে রাত ৯টায় মরা মুরগির রান্না করা মাংস বিক্রির খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল গফুর আলামিন হোটেল থেকে মাংস জব্দ করে ফেলে দেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের অর্থদণ্ড দেন।

মরা মুরগির রান্না করে বিক্রির বিষয়ে আল আমিন হোটেলের মালিক সেলিম হোসেন বলেন, ‘আমি বাজার মূল্য দিয়ে মাংস কিনেছি। মাংস মরা বয়লার মুরগির ছিল, এটা আমি জানতাম না। পরে আরও সতর্ক হবো।’

মাংস বিক্রেতা আবুল নিজের দোষ স্বীকার করে বলেন, ‘লোভের বসে প্রথম বারের মতো এই কাজটি করে ফেলেছি। পরে সাবধান থাকবো।’

তবে এই ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের মতে, অনেক আগে থেকে মাংস বিক্রেতা ও হোটেল মালিকের মাঝে যোগসাজশ ছিল। অনেকদিন থেকে তারা মরা মুরগি রান্না করে মানুষকে খাওয়াচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি হওয়া উচিৎ ছিল।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন জানান, নিজেদের অপরাধ স্বীকার করায় হোটেল ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা এবং মাংস বিক্রেতাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। সেইসঙ্গে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। এ ধরণের অপরাধ পুনরায় করলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে।

হিমেল/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়