ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

২ লাখ ৩০ হাজার লিটার ভোজ্যতেল মজুত, তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৪, ১২ মে ২০২২   আপডেট: ১৩:৪৬, ১২ মে ২০২২
২ লাখ ৩০ হাজার লিটার ভোজ্যতেল মজুত, তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা

খুলনায় খোলা বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট এবং অধিক মূল্য থাকলেও গোডাউনগুলোতে রয়েছে বিপুল পরিমাণ তেলের মজুত। পাইকারী ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে এসব তেল মজুত করে রেখেছেন। 

বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরে নগরীর স্যার ইকবাল রোডস্থ বড় বাজারের এলাকার সিটি ব্যাংক গলিতে অবস্থিত সোনালী এন্টার প্রাইজ, সাহা ট্রেডার্স ও রণজিৎ অ্যান্ড সন্স নামক তিনটি প্রতিষ্ঠানের ৮টি গোডাউনে জেলা প্রশাসন ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে অবৈধ মজুতের সত্যতা মেলে। 

এসব গোডাউনে পাওয়া যায় ১ হাজার ১২৯ ব্যারেল সয়াবিন ও সুপার পামওয়েল। এর পরিমাণ ২ লাখ ৩০ হাজার লিটার। এ অভিযাগে প্রতিষ্ঠান তিনটিকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের নেতৃত্বে থাকা খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের মুখপাত্র বেদাশীষ বসাক। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ভোজ্য তেলের অবৈধ মজুদ রাখার গোপন খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বড় বাজারের তিনটি প্রতিষ্ঠানের ৬টি গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সোনালী এন্টার প্রাইজের ৩টি গোডাউনে ১৪৪ ব্যারেল সয়াবিন ও ১৭১ ব্যারেল সুপার পামওয়েল, সাহা ট্রেডার্সে ১৬৭ ব্যারেল সয়াবিন ও ৩৩৯ ব্যারেল সুপার পামওয়েল এবং  রণজিৎ অ্যান্ড সন্স নামক প্রতিষ্ঠানে ৩০৪ ব্যারেল তেল পাওয়া যায়। এ অভিযোগে সোনালী এন্টার প্রাইজের মালিক প্রদীপ সাহাকে ৩০ হাজার টাকা, সাহা ট্রেডার্সের মালিক দিলীপ কুমার সাহাকে ৯০ হাজার টাকা এবং রণজিৎ অ্যান্ড সন্স নামক প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেদাশীষ বসাক বলেন, ‘কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ অনুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৩০ মেট্টিক টন এবং ৩০ দিনের বেশি মজুত রাখা যাবে না। কিন্তু উল্লিখিত প্রতিষ্ঠান তিনটি এ আইন লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত তেল মজুত রেখেছিল। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে, মজুত করা তেলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ’ 

র‌্যাব-৬ খুলনার সদর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে প্রতিষ্ঠান মালিকরা দাবি করেন, চলমান ব্যবসার প্রয়োজনে তেল মজুত করা হয়েছে। দাম বৃদ্ধির জন্য করা হয়নি। বর্তমানে লোকসান দিয়ে পামওয়েল বিক্রি করতে হচ্ছে।

নূরুজ্জামান/এইচএম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়