ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু-১০০ ধানের ভালো ফলনে খুশি কৃষক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩২, ১২ মে ২০২২   আপডেট: ১৭:৪৯, ১২ মে ২০২২
বঙ্গবন্ধু-১০০ ধানের ভালো ফলনে খুশি কৃষক

কুড়িগ্রামে চলতি বোরো মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হয়েছে বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধান। এই ধানের ভালো ফলন হওয়ায় আশাবাদি হয়ে উঠেছেন কৃষকরাও। 

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট জিংক সমৃদ্ধ এই ধান আবিষ্কার করে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু-১০০ নাম দিয়ে ধানটির পরীক্ষামূলক চাষাবাদও শুরু করেন তারা। 

কৃষি বিভাগ ও হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের সহায়তায় এ বছর কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার ১৩ একর জমিতে নতুন এ জাতের ধানটি চাষ করেছেন ৩৯ জন কৃষক। 

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধান চাষের ১৪৮ দিনের মধ্যে ঘরে তুলতে পারবেন কৃষক। এ ধানের চালের আকৃতি মাঝারি চিকন, পুষ্টিগুনে ভরা ও খেতে সুস্বাদু। রোগ বালাই মুক্ত এবং সাধারণ পরিচর্যায় বঙ্গবন্ধু ধান হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ৬ থেকে ৭ টন। ভালো ফলন হওয়ায় খুশি এ ধান চাষ করা কৃষকরা। 

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার অর্জুনডারা এলাকার কৃষক মিজানুর রহমান জানান, কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় এক একর জমিতে বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধান আবাদ করেছি। ধান ক্ষেতে কোনো রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ না হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। ধান অনেকটা চিকন হওয়ায় বাজার মূল্যও ভালো পাওয়া যাবে।

রাজারহাট উপজেলার কাশেম বাজার এলাকার আবুল কাশেম জানান, নতুন জাতের এই ধান দেড় একর জমিতে লাগিয়েছি। অর্ধেক ধান কেটে ঘরে তুলেছি। ২৮ জাতের ধানের থেকে অনেকটাই ভালো ফলন হয়েছে। ২৮ জাতের ধানের চেয়ে এই ধানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি ও বিঘা প্রতি ৫ থেকে ৬ মন ধান বেশি উৎপাদন হয়েছে। আগামী মৌসুম আমার সব জমিতে বঙ্গবন্ধু ধান চাষ করবো।

উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, এই জাতের ধানের ফলন অন্য জাতের ধানের চেয়ে বেশি হয়েছে। এ কারণে আমরা আগামী মৌসুমে কৃষকদের বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করছি।

হারভেস্ট প্লাসের কৃষি গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন মন্ডল জানান, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান থেকে নিজেরাই বীজ সংরক্ষন করতে পারবেন।

হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশে-এর ক্যান্ট্রি ম্যানেজার ড. খায়রুল বাসার জানান, সারা দেশে বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধান চাষ ছড়িয়ে দিতে কৃষি বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ দিবসসহ ধান কাটার উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. এমদাদ হোসেন শেখ জানান, জিংক সমৃদ্ধ এ ধানের উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। এবারই প্রথম রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় এই ধানের চাষ হয়েছে। ফলাফল অন্যান্য জাতের ধানের চেয়ে অনেক ভালো। এই ধান চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদাও মেটানো সম্ভব হবে। 

বাদশাহ সৈকত/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়