লক্ষ্মীপুরে ফসলের ক্ষেতে জোয়ারের পানি, দুশ্চিন্তায় কৃষক    

লক্ষ্মীপুরে ভারি বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলের জমি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ফসলের ক্ষেত। 

স্থানীয়রা জানান, নদীর তীরবর্তী বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি সহজেই লোকালয় ও ফসলের ক্ষেতে যাচ্ছে।

উপকূলের বাসিন্দারা জানান, মেঘনায় দিনে দুইবার জোয়ার-ভাটা হয়। প্রতি বছরের মে মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সৃষ্ট জোয়ারে ফসলের অনেক ক্ষতি হয়। তাই কৃষকরা যাতে মে মাসের আগেই ফসল ঘরে তুলতে পারে, কৃষি বিভাগ থেকে সে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। আর দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করার দাবি জানান তারা।  

চর কালকিনি এলাকার কৃষক হানিফ মিয়া বলেন, জোয়ারের পানি আমার সয়াবিন ক্ষেতে ঢুকে গেছে। ক্ষেতের সয়াবিন অপরিপক্ক হওয়ায় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফসল ঘরে তোলার সময় হলেই এমন দুর্যোগে পড়তে হয়। তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

কমলনগরের চর কালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছয়েফ উল্যাহ জানান, জোয়ারের পানিতে তার ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি নেমে গেলেও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। 

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, জোয়ারের পানি নদী সংলগ্ন কয়েকটি ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ছে। এতে সয়াবিন ও মরিচ ক্ষেতসহ কিছু ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. জাকির হোসেন বলেন, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এখনো জানা যায়নি। ৩-৪ দিন পর বিষয়টি জানা যাবে । এছাড়া, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে।