ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ফরিদগঞ্জে বিবাদী কর্তৃক বাদীকে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল

চাঁদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৮, ১৬ মে ২০২২   আপডেট: ১৫:০৭, ১৬ মে ২০২২
ফরিদগঞ্জে বিবাদী কর্তৃক বাদীকে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিবাদী কর্তৃক বাদীকে পেটানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

১৫ মে, সোমবার ভিডিওটি চাঁদপুরে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ঘটনাটি গত ১৩ মে, শুক্রবার সকালে ফরিদগঞ্জের ১৫ নম্বর রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামে ঘটেছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়, ফরিদগঞ্জে সম্পত্তি নিয়ে রুস্তুমপুর এলাকার দেলোয়ার হোসেন, লোকমান আমিন, মোশারফ হোসেন বাহার, মোজাম্মেল হোসেন, নুরুল আমিন প্রমুখের সঙ্গে শেখ ফরিদ মৃধার মামলা চলছে। এর আগে এই বিরোধকে কেন্দ্র করে শেখ ফরিদের লোকজন হামলার শিকার হন। ওই ঘটনায় উল্লেখিত ৫ জনকে অভিযুক্ত করে ২৩ এপ্রিল ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ফরিদ মৃধা। পরবর্তী সময়ে আদালত বিষয়টি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশকে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করতে বলে।  

পুলিশ পহেলা মে ওই মামলায় দেলোয়ার হোসেন ও লোকমান আমিনকে অভিযুক্ত করে বাকি ৩ অভিযুক্তকে বাদ দিয়ে আদালতে তদন্ত রিপোর্ট পাঠায়। এ ঘটনার পর গত ১৩ মে, শুক্রবার দেলোয়ার হোসেন, লোকমান আমিন, মোশারফ হোসেন বাহারের লোকজন ফরিদ মৃধার পরিবারের ওপর হামলা করে। এই হামলার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। 

হামলায় মারধরে ক্ষতিগ্রস্থ শেখ মৃধা জানান, অভিযুক্তরা আমাদের আগে থেকেই বিভিন্ন স্থানে চুরি, ডাকাতিসহ অজ্ঞাত মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে আসছে। শুক্রবার সকালে আমাদের দুই ভাইকে রুস্তমপুর বাজারে একা পেয়ে দু’পা বেঁধে খুন করার পরিকল্পনা করে। সেদিন তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের অমানবিক পিটিয়েছে। আমরা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এর বিচার চাই।

স্থানীয়রা জানান, ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যাদের মারধর করতে দেখা যাচ্ছে তারা প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকায় তাদের বিষয়ে কথা বলার সাহস কারো নেই। এর বিপরীতে অভিযুক্তদের মন্তব্য জানা যায়নি।

তবে এ প্রসঙ্গে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শেখ ফরিদ মৃধা (৪০), ফয়েজ আহমেদকে (৪৬) উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

এদিকে ১৬ মে, সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিং করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয়। সামাজিক অবক্ষয় ঠেকাতে ঘটনায় জড়িত মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. লোকমান হোসেন এবং মো. মাহাবুব আলম সোহেলকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

অমরেশ/তারা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়