ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

খুলনায় স্কুলছাত্রীকে অপহণের পর ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১০, ১৭ মে ২০২২   আপডেট: ১৯:২৪, ১৭ মে ২০২২
খুলনায় স্কুলছাত্রীকে অপহণের পর ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ

অভিযুক্ত সজল শেখ

খুলনায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের দৃশ্য ধারণ এবং ওই ছাত্রীর বই, খাতা পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রতনখালী গ্রামের সজল শেখের মৎস্য ঘেরের বাসায় তাকে ধর্ষণ করা হয়। আদালতে মামলা দায়েরের পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, ডুমুরিয়া উপজেলার বৃত্তি ভুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রীকে স্থানীয় খাস ভুলবাড়িয়া গ্রামের মিঠু শেখের ছেলে সজল শেখ প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন এবং কু-প্রস্তাব দিতেন। এতে সাড়া না দেওয়ায় সজল ক্ষিপ্ত হন। তাকে নিষেধ করা সত্ত্বেও ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। এ কারণে নিরাপত্তার কথা ভেবে ছাত্রীকে তার মামা বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে থেকে লেখাপড়া করছিল। গত ১৫ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়ার জন্য বের হলে সজল শেখসহ দুইজন তার পথরোধ করে কু-প্রস্তাব দেন। তাতে রাজি না হওয়ায় সজল শেখ হেলমেট দিয়ে ওই ছাত্রীর মাথায় আঘাত করেন। এতে সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে রতনখালীর মৎস্য ঘেরে নিয়ে ধর্ষণ করেন এবং স্কুল ব্যাগসহ বই-খাতা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন। ওই ছাত্রীর মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাকে ধর্ষণ ও বই-খাতা পোড়ানোর দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করেন। 

এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর বাবা সোমবার (১৬ মে) বলেন, ‘অপহরণের পর অনেক খোঁজাখুঁজির করেও মেয়ের সন্ধান পাইনি। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়ে পর পরদিন ১৬ এপ্রিল সকালে রতনখালীর মৎস্য ঘেরে পৌঁছালে তাদের দেখে সজল শেখসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। এ সময় সেখান থেকে বিবস্ত্র ও অচেতন অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করি। পরে জ্ঞান ফিরলে তার কাছ থেকে ঘটনা শুনে ডুমুরিয়া থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এ কারণে গত ২৬ এপ্রিল খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে (১নং) মামলা দায়ের করি।’ 

আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলেও জানান ওই ছাত্রীর বাবা।   

মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. খোরশেদ আলম বলেন, আদালত মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

তদন্ত কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহ বলেন, কয়েকদিন আগে তিনি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন। তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিবীড়ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। যথাসময়ে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হবে। তবে আসামি সজল শেখকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি। 

নূরুজ্জামান/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়