ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টারকে শোকজ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা   || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৫, ১৯ মে ২০২২   আপডেট: ১৫:৪৭, ১৯ মে ২০২২
খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টারকে শোকজ 

খুলনা রেল স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার 

মিথ্যা অজুহাতে পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করায় খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকারকে শোকজ করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ মে) রাতে রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) পাকশি মো. আনোয়ার হোসেন তাকে শোকজ করেন। শোকজে মানিক চন্দ্রকে ১৯ মে বৃহস্পতিবারে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শোকজের জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। 

এর আগে ১৬ মে খুলনা মানিক চন্দ্র সরকার টিকিট কালোবাজারীর অভিযোগ এনে দু’জন সহকারী স্টেশন মাস্টারসহ ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। 

এদিকে, বিষয়টি স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার নিজেই স্বীকার করে বলেন, জিডির বিষয়ে আমাকে শোকজ করা হয়নি। অন্য একটি বিষয়ে শোকজ করা হয়েছে। তবে কোন বিষয়ে শোকজ করা হয়েছে-সেটি বলতে রাজি হননি তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মে স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার খুলনার ৫ কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে খুলনার জিআরপি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। 

সেখানে উল্লেখ করা হয়, খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. আশিক আহম্মেদ ও সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. জাকির হোসেন, টিএক্সআর বায়তুল ইসলাম, আইডব্লিউ অফিসের মো. জাফর মিয়া ও তোতা মিয়া কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করেন এবং তারা বিভিন্ন বিশিষ্টজনের ভূয়া নাম ব্যবহার করে টিকিটের চাহিদা দেখিয়ে টিকিট গ্রহণ করেন। টিকিট না পেলে তারা বহিরাগতদের দিয়ে তার ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করেন। এমনকি তারা স্টেশন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও তাকে মারধরের নীলনকশা করছে এবং মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।

এদিকে, টিকিট কালোবাজারীর বিষয়ে রেলওয়ের টিএক্সআর বায়তুল ইসলাম বলেন, আমরা কখনওই টিকিট কালোবাজারী করি না। স্টেশন মাস্টারকে ট্রেন যাত্রীরা চেয়ারে না পেয়ে আমাদের কাছে আসে। তখন আমরা উপায়ান্ত না পেয়ে রেলের যাত্রী সেবার কথা বিবেচনায় নিয়ে যাত্রীদের কথা শুনি। 

সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. আশিক আহম্মেদ বলেন, স্টেশন মাস্টার সাধারণ মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। আর তিনি ঠিকমত অফিসে বসেন না। ফলে সেবা গ্রহণকারী যাত্রীদের চাপ আমাদের ওপর এসে পড়ে।

এ ব্যাপারে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন ও বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার শাহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। 

 মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়