ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ভোর রাতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু, পরিবার বলছে ‘অলৌকিক’

মাগুরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ২০ মে ২০২২   আপডেট: ১৭:০২, ২০ মে ২০২২
ভোর রাতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু, পরিবার বলছে ‘অলৌকিক’

রাতে মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে থাকা চারমাস বয়সের শিশুর লাশ পাওয়া গেছে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ গজ দূরে পুকুরের মধ্যে। হঠাৎ এমন মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করতে না পেরে পরিবার ঘটনাটিকে ‘অলৌকিক’ বলে মনে করছে। এ দিকে রহস্যময় এমন মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। 

শুক্রবার (২০ মে) ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামে।  

শিশুর নাম স্বপ্নীল চক্রবর্তী। বাবার নাম সমীর চক্রবর্তী। তিনি ওই গ্রামের মৃত শিবনাথ চক্রবর্তীর ছেলে। 

শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় শ্মশানে শিশুটির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। 

সরেজমিনে পরিবার ও আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই কক্ষের একতলা বাড়িতে  স্ত্রী নন্দিতা এবং দুই ছেলেকে নিয়ে বাস করেন সমীর চক্রবর্তী। ঘটনার সময় ৯ বছর বয়সের বড় ছেলে ঋক চক্রবর্তীকে নিয়ে সমীর আলাদা ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর সাড়ে তিনটার দিকে তিনি পাশের ঘরে গিয়ে স্ত্রী ও স্বপ্নীলকে ঘুমন্ত দেখতে পান। এরপর তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যান। কিন্তু ফিরে এসে ভোর হয়ে গেছে ভেবে বাড়ির মূল দরজায় আর তালা দেননি। এমনকি ঘরের ভেতর থেকেও দরজা লাগানোর প্রয়োজন মনে করেননি। তিনি পুনরায় ঘুমিয়ে পড়েন।  

ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সমীর চক্রবর্তী পুনরায় ঘুম থেকে উঠে স্ত্রী ও ছেলের খোঁজ নিতে গিয়ে দেখেন নন্দিতা ঘুমিয়ে থাকলেও স্বপ্নীল বিছানায় নেই। এ সময় স্বপ্নীলের বিছানা, বালিশ পরিপাটি ছিল। প্রতিবেশী এবং স্বজনদের নিয়ে আশপাশে খোঁজার এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ গজ দূরে পুকুরের পানির মধ্যে তারা স্বপ্নীলের লাশ দেখতে পান। 

চারমাস বয়সের স্বপ্নীল এতো ভোরে কীভাবে সেখানে গেলো এই প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারেননি। তবে সমীর চক্রবর্তী জানান, অনেক আগে সে ও তার স্ত্রী স্বপ্নে দেখেছেন- কে বা কারা তাদের বলছেন, সন্তানকে নিয়ে যাবেন। তারপরই এমন ঘটনা ঘটল। এই ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা তারা খুঁজে পাচ্ছেন না। ফলে কারো প্রতি কোনো সন্দেহ বা অভিযোগও নেই বলে জানান সমীর চক্রবর্তী। 

সমীরের বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক স্বপন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা এর কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।’ আরেক ভাই হিরো চক্রবর্তীও একই কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ডায়াপার পরা থাকায় আমাদের বাড়ির পুকুরে ওর লাশ ভেসে ছিল। কীভাবে কী ঘটে গেলো কিছুই বুঝতে পারছি না।’

ঘটনার পর থেকে মা নন্দিতা শোকে বারবার মূর্ছা যাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।  

শাহীন/তারা

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়