বান্দরবানে পর্যটকবাহী গাড়ি খাদে: নিহতের সংখ‌্যা বেড়ে ৩

বান্দরবানের থানচি উপজেলার জীবননগরে পর্যটকবাহী একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে নিহতের সংখ‌্যা বেড়ে তিন জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ছয় পর্যটক।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহের মো. মঞ্জুরুল ইসলাম (৪০), ফরিদপুরের মো. জয়নাল আবেদিন (৩২) ও ঢাকার লালবাগ এলাকার বাসিন্দা মো. হামিদুল ইসলাম (৪১)। 

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মাগুরার ওয়াহিদুজ্জামান (৪০), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবিনগরের ফারুক (৪০), ঢাকার নিউ মার্কেট এলাকার মো. মিলন (৩০), মানিকগঞ্জের মো. রাজীব মিয়া (৩০), ঢাকার মো. ফয়সাল (৩৫) ও গাইবান্ধা জেলার মো. আব্দুল মালেক (৫২)। তারা সবাই বুয়েট নিরাপত্তা শাখার কর্মচারী।

স্থানীয়রা জানায়, থানচির জীবননগর সড়কের ঢালু রাস্তায় পর্যটকবাহী একটি নোহা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই এক পর্যটক ও পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই জনের মৃত্যু হয়। 

এসময় আরও ছয় জন পর্যটক আহত হন। আহতদের ফায়ার সার্ভিস সদস্য ও সেনা সদস্যরা উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়। 

আহত পর্যটক রাজীব মিয়া বলেন, ‘ঢাকা থেকে থানচিতে যাবার পথে জীবননগর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। এতে আমাদের সহকর্মীরা নিহত ও আহত হয়।’

স্থানীয় ড্রাইভাররা মনে করছে, পার্বত্য জেলার সড়ক পথ সমতলের মতো নয়, পাহাড়ের আঁকা-বাঁকা ও উচুঁ-নিচু সড়ক পথে গাড়ি চালাতে বেশ অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। এখানে সমতলের ড্রাইভাররা গাড়ি চালালে এই ধরনের দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। তাই পাহাড়ে বেড়ানোর সময় স্থানীয় ড্রাইভার ও গাড়ি ব্যবহার করলে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক কম থাকে।’

থানচি থানার এএসআই সত্যব্রত চাকমা জানান, পর্যটকবাহী গাড়ি খাদে পড়ে তিন জন মারা গেছে। এ ঘটনায় আরও ছয় জন পর্যটক আহত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে বুধবার (২৫ মে) রাতে একই উপজেলার লিটক্রে সীমান্ত সড়কে চাঁদের গাড়ি উল্টে পাঁচ নির্মাণ শ্রমিক আহত হন।