ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

খুলনায় মাঠে নেমেছে খাদ্য বিভাগের ১০ টিম

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ৭ জুন ২০২২  
খুলনায় মাঠে নেমেছে খাদ্য বিভাগের ১০ টিম

ফাইল ফটো

খুলনায় ধান চালের অবৈধ মজুত ঠেকাতে খাদ্য বিভাগের ১০টি টিম মাঠে নেমেছে। এছাড়া এখানকার বাজারে রবিবার ও সোমবার (৬ জুন) মোটা চাল ৪১ টাকা ও চিকন চাল কেজিতে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। 

সূত্র জানায়, খুলনায় জুন মাসের শুরুতে সব ধরণের চালের মূল্য কেজিপ্রতি চার থেকে পাঁচ টাকা করে বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং অবৈধ মজুতদারদের চিহ্নিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে টিম গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে খাদ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার আলোকে গত ২ জুন খুলনা মহানগরীতে একটি ও ৯ উপজেলায় একটি করে টিম গঠন করা হয়। 

খুলনা নগরীতে সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নেতৃত্বে এবং উপজেলা পর্যায়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নেতৃত্বে টিমগুলো ধান চালের আড়ত ও মিল পরিদর্শন করছে। 

খুলনা জেলার সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জেলার ১০৫টি রাইসমিলের কোথাও ধান চালের অবৈধ মজুত চোখে পড়েনি। উপজেলা পর্যায়ের টিমগুলো কাজ করছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে লাইসেন্স ব্যতীত এক মেট্রিক টনের বেশি চাল মজুত না রাখার জন্য প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে।’

বটিয়াঘাটা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘উপজেলার ৪৬টি মিলে ধান চালের কোনো অবৈধ মজুত মেলেনি। মনিটরিং কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।’ 

বটিয়াঘাটার আকুঞ্জি রাইস মিলের মালিক আতিকুর রহমান বলেন, ‘ধান কাটার শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় বোরোর একটি অংশ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ধানের সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গোপালগঞ্জ ও বরিশাল থেকে বোরো আসার পরিমাণ কমে গেছে।’

তিনি আরো জানান, বিভিন্ন  কোম্পানি বোরো ধান কিনে মজুত করেছে। ফলে ধান ও চালের সঙ্কট দেখা দেওয়ার পেছনে এটিও একটি কারণ হিসেবে কাজ করছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী, বাজারে মোটা চাল ৪১-৪২ টাকা, মাঝারি ৪৮-৪৯ টাকা, চিকন ৫৮-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল হোসেন এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছেন, অবৈধভাবে খাদ্য শস্য মজুত করলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তিন বছরের জেল ও জরিমানা করা হবে। একই সঙ্গে অবৈধ মজুতকৃত পণ্য বাজেয়াপ্ত করা হবে।

খাদ্য অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, এ বছরের ৩ জানুয়ারি চালের একদফা মজুত বাড়ার কারণে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়। ওই কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, শীতকালে ধান শুকাতে দেরি হওয়ায় মূল্য বেড়েছে। সে সময়েও অবৈধ মজুত পাওয়া যায়নি বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। এছাড়া বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সুপারিশ করা হয়। ২০২১ সালের ৫ আগস্ট মনিটরিং কমিটি খাদ্য অধিদপ্তরে প্রতিবেদন পাঠায় অসাধু ব্যবসায়ীদের কারিসাজিতে ধান ও চালের বাজার ঊদ্র্ধমুখি উল্লেখ করে। এ সময়ে মূল্য বাড়ার পেছনে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে মোটা চালের আবাদ কমাকে উল্লেখ করা হয়। 

এ সূত্রের তথ্য, গত বছরের ১০ অক্টেবর মোটা চাল ৩৮-৩৯ টাকা, মাঝারি ৪১-৪২ এবং চিকন ৫৮-৫৯ টাকা দরে বিক্রি হয় বাজারে।

নূরুজ্জামান/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়