ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শেবাচিমে রোগীর স্বজন ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১০, ১১ জুন ২০২২   আপডেট: ২২:৩৮, ১১ জুন ২০২২
শেবাচিমে রোগীর স্বজন ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) রোগীর স্বজন ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার (১১ জুন) বিকেলে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ তলার সার্জারি-১ ইউনিটে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি-১ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিয়াদ নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজন ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

রোগীর স্বজনরা বলছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে নেয়ার পরেও চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। অপরদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বলছেন, মারা যাওয়া রোগীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে।

রিয়াদের স্বজনরা জানান, হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা খুব ধীর গতিতে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিল। আমরা বলেছিলাম, রিয়াদের অবস্থা বেশি খারাপ কিন্তু তারা কথা শোনেনি। রিয়াদকে চিকিৎসা না দেওয়ায় সে মারা গেছে। এ ঘটনার পর রিয়াদের বন্ধুদের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতাহাতি হয়। তার কিছুক্ষণ পর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা আমাদের উপর হামলা চালায়।

সার্জারি ইউনিটে দায়িত্বরত ইন্টার্ন চিকিৎসক অর্ণব খান বলেন, ‘রোগী মারা যাওয়ার পর কলেজ ইউনিফর্ম পরা মৃতের বন্ধুরা এসে ডিউটি ডাক্তারদের রুমে হামলা চালিয়ে আলমেরাসহ নানা আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। রুমে থাকা দুই নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে অন্য ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বাধা দিলে তাদের মারধর করা হয়।’

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. রাকিন বলেন, ‘সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হয়েছে ওই রোগীকে বাঁচানোর জন্য। তারপরও এসে মৃতের স্বজন ও বন্ধুরা হামলা চালিয়েছে।’

বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, ‘ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উপর হামলার খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

হাসপাতাল পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে যে মারা গেছেন, তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উপর রোগীর স্বজনদের এমন আচরণ কাম্য নয়।’

স্বপন/কেআই

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়