সুনামগঞ্জে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে সুরমা নদীর পানি ষোলঘর পয়েন্টে ১৪ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৩ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর কয়েক ঘণ্টা ব্যবধানে দুপুর ২ টার দিকে নদীর পানি আরো ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে কুশিয়ারা, যাদুকাটা, বৌলাই, রক্তি নদীসহ জেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এতে করে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে৷ সকাল থেকে সুনামগঞ্জ শহরের উকিলপাড়া, সাহেব বাড়িঘাট, নবীনগর, কাজিরপয়েন্টসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করছে বলে জানা গেছে।
এদিকে মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধান আবারো বন্যা হওয়ায় দুর্ভোগ দুর্দশা বেড়েছে অসহনীয় মাত্রায়।
জানা গেছে, বন্যার পানি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করায় বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা সদরের সঙ্গে ছাতক-দোয়ারাবাজার ও তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ছাতক উপজেলার আঞ্চলিক সড়কগুলো তলিয়ে গিয়ে সিলেটসহ সারাদেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, জামালগঞ্জ, দিরাইসহ সবকটি উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন ভারতের মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামসুদ্দোহা বলেন, বৃষ্টিপাতে সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘন্টায় ৮১২ মিলিমিটার, আসামের ধুর্বিতে ১৭০, মেঘালয়ের শিলংয়ে ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টি পাত রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সুরমা নদীর পানি ষোলঘর পয়েন্টে ৩৪ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যা মঙ্গলবার ছিল বিপদসীমার ৯ সে. মি. উপরে।
তিনি আরো জানান, মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
আল আমিন/ মাসুদ
আরো পড়ুন