ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

পটুয়াখালীতে পানিবন্দি ১২ হাজার মানুষ

পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩২, ১৭ জুন ২০২২   আপডেট: ১৬:৪০, ১৭ জুন ২০২২
পটুয়াখালীতে পানিবন্দি ১২ হাজার মানুষ

পটুয়াখালীতে উজানের ঢলের কারণে নদ-নদীতে পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট বেড়েছে। এতে কলাপড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়ন ও রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ও চর মোন্তাজ ইউনিয়নে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে অন্তত ১২ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দুই দফা জোয়ারে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ১২ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর ফসলি জমি। ভেসে গেছে বেশকিছু ঘের ও পুকুরের মাছ। এতে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। তাই, ভাঙা বেড়িবাঁধ পুনঃনির্মাণ বা মেরামতের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আন্ধারমানিক, তেতুলিয়া ও রাবনাবাদ নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় কলাপড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া, চর চান্দুপাড়া, পশরবুনিয়া, মুন্সিপাড়া, গাজীর খাল, মঞ্জুপাড়া, হাসনাপাড়া, চারিপারা, চৌধুরীপাড়া ও বানাতীপাড়া এবং রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের গরুভাঙ্গা ও চর মোন্তাজ ইউনিয়নের চর বেষ্টনি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব গ্রামের ১২ হাজার বাসিন্দা। অনেক স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। প্রতি বছর এ মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত হন এসব এলাকার মানুষ। বার বার জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্না দিয়েও দুর্ভোগ লাঘব হচ্ছে না এসব মানুষের।

লালুয়া ইউনিয়নের চর চান্দুপাড়া গ্রামের ষাটোর্ধ্ব কৃষক কাশেম চালুকদার বলেন, ‘৫ থেকে ৬ বছর আগে আমাদের এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। প্রতি বছরই আমাদের বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। এবছরও আমাদের ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।’

একই এলাকার কৃষক খালেক সিকদার বলেন, ‘বার বার আমরা জনপ্রতিনিধিদের কাছে শুধু এই বেড়িবাঁধটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু, কেউই আমাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেননি। আমরা ত্রাণ চাই না, শুধু বাঁধটা নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানিয়েছেন, পাহাড়ি ঢল এবং প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বেড়েছে।

লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তপন বিশ্বাস বলেছেন, ‘আমার ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি। বার বার প্রশাসনের কাছে বেড়িবাঁধ নির্মাণের অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজে আসছে না। তাই, সরকারের কাছে জোর অনুরোধ জানাচ্ছি, যাতে আমাদের বেড়িবাঁধটি নির্মাণ করে দেওয়া হয়।’

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্ম শহিদুল হক বলেছেন, ‘বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য কয়েকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলেছি। বানভাসি মানুষকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

ইমরান/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়