ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

বগুড়ায় পানিবন্দি ১৫ হাজার পরিবার

বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৫, ২০ জুন ২০২২  
বগুড়ায় পানিবন্দি ১৫ হাজার পরিবার

বগুড়া ওপর দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীতে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে নতুন করে বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে নদীর তীরবর্তী আরো বেশ কিছু এলাকার মানুষজন। তলিয়ে গেছে বসতবাড়ি এবং ফসলি জমি। দেখা দিয়েছে খাবার পানি ও শুকনো খাবারের তীব্র সঙ্কট। 

সোমবার (২০ জুন) দুপুর ৩টার দিকে বগুড়ায় নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। গত ২৪ ঘন্টায় (রোববার দুপুর ৩টা থেকে সোমবার দুপুর ৩টা) পর্যন্ত নদীতে পানি বেড়েছে  ২১ সেন্টিমিটার।

বগুড়া ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তা’র কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত জেলার সারিয়াকান্দি এবং সোনাতলা উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ১৫ হাজার ১৩০টি পরিবার বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ওই পরিবারগুলোর ৭১ হাজার ৮৪৫ জন মানুষ। তবে ধুনট উপজেলার কোথাও পানিবন্দি হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

প্রতি বছর বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সারিয়াকান্দি উপজেলা। এই উপজেলায় এখন পর্যন্ত ১০টি ইউনিয়নের ৮০টি গ্রাম বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। এই গ্রামগুলোর ১১ হাজার ১৮০ পরিবারের ৫৬ হাজার ৭২০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে এবং ২০ হাজার টিউবওয়েল পানি নিচে রয়েছে। এছাড়া বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ১ হাজার ৩৮৪ হেক্টর কৃষি জমি। 

বন্যা দুর্গত তিন উপজেলায় ইতোমধ্যে ত্রাণ ও পুনবার্সনের পক্ষ থেকে খাদ্য সমগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সারিয়াকান্দিতে ২০ টন, সোনাতলায় ১৫ টন এবং ধুনটে ১০ টন  চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।  

সারিয়কান্দি উপজেলার বোহাইল ইউনিয়নের মো. আসাদুজ্জামান খান বলেন, তার ইউনিয়নের ৪৬টি বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে। এই বাড়িঘরের ১ হাজারের মানুষ পানিবন্দি হয়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। 

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) এনামুল হক জানান, এখন পর্যন্ত জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, ধুনট এবং শেরপুরের ১ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি পানি উঠেছে সারিয়াকান্দি উপজেলায়। 

বন্যার পানির কারণে এসব জমির এই আউশ ধান, পাট, ভুট্টা, বীজতলা এবং শাক সবজি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, আগামী ২৫ তারিখ পর্যন্ত নদীতে পানি বৃদ্ধি এবং বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকবে। ভারতে বৃষ্টি না হলে আমাদের এদিকে পানি কমতে শুরু করবে। 

এনাম/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়