ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৫

নরসিংদী প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ২৪ জুন ২০২২   আপডেট: ১৮:২৩, ২৪ জুন ২০২২
পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৫

নরসিংদীর রায়পুরায় পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিদেশি মুদ্রাসহ ২৬ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পশ্চিম মেড্ডা এলাকার ইসমাইল মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন (৪৮), মধ্য মেড্ডা এলাকার ঝারু মুন্সির ছেলে মো. রাজিব মিয়া (৩৩), পশ্চিম মেড্ডা এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে শাহাজাহান মিয়া (৬০), নবীনগর নোয়া গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫০) ও কুমিল্লা হোমনার দৌলতপুর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো. নাজির আহম্মেদ (৫৮)।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ২ সেট পুলিশের পোশাক, ১ জোড়া হ্যান্ডকাফ, ১টি বেল্ট, ২০০ ইউএস ডলার, ২০০০ সৌদি রিয়াল, ১১০০০ টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি নোহা গাড়ি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, রায়পুরার বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরনগর এলাকার মৃত হুমায়ুন কবিরের দুই ছেলে দেলোয়ার হোসেন ও আক্তার হোসেন। তারা কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ‘হাবিব সুপার মার্কেট’ নামের একটি বিপণিবিতানে মুঠোফোন বিক্রির ব্যবসা করেন। পাশাপাশি একটি হজ এজেন্সির সঙ্গেও তারা জড়িত। ১৬ জুন বিকেলে ভৈরবের দোকান বন্ধ করে আক্তার হোসেন ল্যাপটপের ব্যাগে ভরে ইউএস ডলার, সৌদি রিয়াল, বাংলাদেশি টাকাসহ ২৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯০০ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। মোটরসাইকেলে তিনি মতিউর নগর উত্তরপাড়ার একটি সেতুর কাছাকাছি পৌঁছানোর একটি সাদা ব্যক্তিগত গাড়ি তার পথরোধ করে। তখন তিন-চারজন সাদা পোশাকে ও পুলিশের পোশাক পরিহিত তিন ব্যক্তি তাকে আটক করে এলোপাতাড়ি মারধর করে টাকার ব্যাগ ও দুটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নেন।

এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ১৯ জুন রায়পুরা থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের নির্দেশে ডিবি পুলিশের একটি দল মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়। তাদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর গতকাল দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তারা পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে ও বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’

মাহমুদ/কেআই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়