ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

হবিগঞ্জে আরও চারটি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্লাবিত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৭, ২৭ জুন ২০২২   আপডেট: ১২:১৯, ২৭ জুন ২০২২
হবিগঞ্জে আরও চারটি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্লাবিত

হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কালনী ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমেছে ৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। কিন্তু তারপরেও জেলার হাওরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিতই রয়ে গেছে। 

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বানের পানিতে নতুন করে আরও চারটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র প্লাবিত হয়েছে। 

শনিবার (২৫ জুন) কালনী ও কুশিয়ারা নদীর পানি ছিল বিপৎসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার ওপরে। রোববার (২৬ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেটি কমে ১১৪ সেন্টিমিটারে নেমে আসে। তার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পানি আরও ৩ সেন্টিমিটার কমলেও হাওরের পানি তেমন একটা কমেনি। হাওরের পানি কমতে আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন খান এলিস জানান, শনিবার জেলায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৩৫৪টি। রোববার চারটি কেন্দ্র নতুন করে প্লাবিত হওয়ায় সেগুলোতে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের অন্য কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত জেলার ৮টি উপজেলায় ৫৫টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে। এর মধ্যে ২১ হাজার ৪১৯ জন ৩৫০টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন। 

তিনি জানান, আজমিরীগঞ্জ পৌরসভাসহ এ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন, নবীগঞ্জে ১২টি, বানিয়াচংয়ে ১৫টি, লাখাইয়ে ৬টি, সদর উপজেলায় ৬টি, মাধবপুরে ৫টি, বাহুবল উপজেলার চারটি ও শায়েস্তাগঞ্জে ১টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত রয়েছে। 

দুর্গতদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৫ লাখ টাকা, ৪১৫ মেট্রিক টন চাল ও তিন হাজার ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ। চিকিৎসা সেবার জন্য কাজ করছে ৩০টি মেডিক্যাল টিম। 

জেলা প্রশাসনের হিসেব মতে, এবারের বন্যায় ২৪ হাজার ২৩০টি পরিবার এবং ৮৩ হাজার ৪৯০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে আট হাজার ১৯০ জন পুরুষ, আট হাজার ১৪ জন নারী, পাঁচ হাজার ১১ জন শিশু এবং ২০৪ জন প্রতিবন্ধী আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন।

মামুন/টিপু

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়