ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মোবাইল ছিনিয়ে নিতেই নওফেলকে হত্যা: পুলিশ

বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৭, ২৮ জুন ২০২২   আপডেট: ১৬:০৬, ২৮ জুন ২০২২
মোবাইল ছিনিয়ে নিতেই নওফেলকে হত্যা: পুলিশ

নিহত স্কুল ছাত্র নওফেল

মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিতেই বগুড়ার স্কুল ছাত্র নওফেল শেখকে (১৪) হত্যা করা হয়। লাশ উদ্ধারের ৭ দিনের মাথায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত নবির হোসেন (১৬) নামে এক কিশোরকে গ্রেপ্তারের পর একথা সাংবাদিকদের জানান বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সোমবার রাতে নবিরকে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়

গত ২০ জুন বিকেলে উপজেলার খরনা ইউনিয়নের দাড়িগাছা গ্রামের জঙ্গল থেকে নওফেলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

নওফেল বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খরনা ইউনিয়নের দাড়িগাছা হাটপাড়া গ্রামের ইসরাফিলের ছেলে। সে দাড়িগাছা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। 

গ্রেপ্তার হওয়া কিশোর নবির হোসেন একই গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে।

পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, লাশ উদ্ধারের পর থেকেই আমরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে কাজ করছিলাম। প্রথমে সাতমাথা থেকে নওফেলের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। এরপর ফোনের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার করা হয় নবির হোসেনের পূর্ব পরিচিত জাকিয়া খাতুনকে। পরে পুলিশের একটি দল নবির হোসেনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সোমবার (২৭ জুন) গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকা থেকে নবির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তারের পর নবির আমাদের কাছে স্বীকার করেছে, নওফেল এবং সে বন্ধু ছিল। তারা প্রায়ই দাড়িগাছা গ্রাম থেকে আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূরে একটি জঙ্গলে গিয়ে ধূমপান করতো। প্রায় দুই মাস আগে নওফেলের বাবা ইসরাফিল ছেলেকে জমি বিক্রির ১৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল কিনে দেন। এরপর থেকেই নওফেলের মোবাইল হাতিয়ে নেওয়ার চিন্তা করতে থাকে নবির। ১৮ জুন নওফেলের জন্মদিন থাকায় সেদিন ওই জঙ্গলে গিয়ে নবির আনন্দ করার কথা জানায় নওফেলকে। ওই দিন সকাল ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধূমপান করার এক পর্যায়ে নবির পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সঙ্গে নিয়ে যাওয়া মাফলার দিয়ে নওফেলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে নবির পাশের একটি জমি থেকে বাঁশের লাঠি দিয়ে নওফেলের মাথায় আঘাত করে। পরে সে নওফেলের মোবাইল নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। 

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ২০ জুন লাশ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে নবির ঢাকায় দিয়ে আত্মগোপন করে। নবিরকে আজ (মঙ্গলবার) আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মোবাইল বিক্রিতে সহায়তাকারী নারী জাকিয়াকে (২০) গ্রেপ্তার দেখানোর পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) আব্দুর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোতাহার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) হেলেনা খাতুন এবং শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।

এনাম/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়